
শেরপুরের নকলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রদলের এক নেতা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই কৃষি কর্মকর্তা মারধর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় রাতে নকলা থানায় উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) ও ছাত্রনেতা ফজলুল হক দুজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
কৃষি কার্যালয় ও মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে নকলা উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে কৃষি অফিসে প্রবেশ করে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) ও ছাত্রনেতা ফজলুল হকসহ কয়েকজন। তারা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর কাছে কৃষি প্রণোদনার তালিকা নিয়ে অনুসন্ধান করেন এবং কোন ‘নেতাকে’ কত বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে তা জানতে চান।
কৃষি কর্মকর্তা জানান, প্রণোদনা কর্মসূচিতে কৃষকদের নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয়, রাজনৈতিক নেতাদের নামে বরাদ্দের নিয়ম নেই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাহাত ও তার সহযোগীরা গালিগালাজ করতে থাকেন এবং তাঁকে 'নকলা থেকে বের করে দেওয়ার’ হুমকি দেন। একপর্যায়ে তাঁরা কর্মকর্তা মোরসালিনকে মারধর ও ধাক্কাধাক্কি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
চিৎকার শুনে অফিসের অন্যান্য কর্মচারীরা কক্ষে এসে তাকে রক্ষা করেন। অভিযুক্ত দুজন সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে সহকর্মীরা আহত কৃষি কর্মকর্তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
সন্ধ্যায় কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী বাদি হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ফজলুল হকের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নকলা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল সরকার বলেন, এই ঘটনার ভিডিও দেখেছি। এটা নিন্দনীয় কাজ। ছাত্রনেতা হয়ে একজন অফিসারকে মারধর করা আমরা কোন ভাবে সমর্থন করি না। দল এই ঘটনায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিবে ।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) এসোসিয়েশন নিন্দা জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এতে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি জানানো হয়। এ ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে প্রাথমিক সদস্যপদ সহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিস্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ।
মন্তব্য করুন