মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

ধনেপাতার যাদুকরী গুণাগুন

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

যদিও ধনিয়া পাতা বছরের সব সময় পাওয়া যায়। তবে শীতকালে এর স্বাদই আলাদা। এটি শুধু খাবারে স্বাদই বাড়ায় না। এর পাশাপাশি ধনিয়া পাতার রয়েছে একগুচ্ছ ঔষধি গুণাগুণ।

শীতের মৌসুমে বাজারজুড়ে শাকসবজি ছড়াছড়ি থাকে। তাই শীতকালে খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলতে ধনিয়া পাতা ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি সুন্দরভাবে পরিবেশন করতেও এটি ব্যবহার করা যায়। তবে আপনি কি জানেন ধনিয়া পাতা শুধু খাবারের সৌন্দর্য এবং সুগন্ধই আনে না, এর রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। ধনিয়া গাছ এবং বীজ উভয়ই রান্নায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ধনিয়া পাতার গুণের কিন্তু শেষ নেই। প্রায় সকলেই রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এটি খেতে পারেন। স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর এই সবজি এনজাইমগুলি সক্রিয় করতে বেশ কার্যকরী। শরীরে রক্তে বিদ্যমান শর্করা কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও ধনিয়া পাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ। যা শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করে এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, খারাপ কোলেস্টেরল এবং এলডিএল কমাতেও ধনিয়া পাতা বেশ কার্যকর। যা নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পায়। পাশাপাশি পাচনতন্ত্রের সুস্থতায় ধনিয়া জলও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

নিয়মিত ধনিয়া পাতা খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। ফলসরূপ পাচনতন্ত্র আরও ভালো ভাবে কাজ করে। ধনিয়ার পানি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে। এটি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বেড়িয়ে যায়। যার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

চিকিত্সাশাস্ত্রে ধনিয়া বীজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিডনি সুস্থ রাখে, ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, রক্তস্রাবের সমস্যা দূর করতে এটি বেশ সহায়ক। এতে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ, বি-ক্যারোটিনয়েডস, পলিফেনলসের মতো উপকারী ভেষজ গুণ বিদ্যমান। সেই সঙ্গে ধনিয়া বীজ ও পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল।

এছাড়াও ধনিয়ার পানি পান করলে চুল মজবুত করে ভাঙ্গন কমায়। ধনিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে, সি এবং এ পাওয়া যায়। যা চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

পাশাপাশি ধনিয়া পাতা গার্নিশিং করার কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতেও খুব দরকারি। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের দরুন কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে।

সেই সঙ্গে লিভার সংক্রান্ত সমস্যার জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ধনিয়া পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যালকালয়েড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে, যা পিট্টা রোগ এবং জন্ডিসের মতো লিভারের রোগ নিরাময়ে সহায়ক।

ধনিয়া বীজ থেকে প্রাপ্ত তেল হজমক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আইবিএস এ আক্রান্ত রোগীদের এই তেল প্রয়োগ করলে পেটে ব্যথা, ফোলাভাব, অস্বস্তি এবং ব্যথায় উল্লেখযোগ্য উপশম পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আটা ও ময়দার মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?
আটা ও ময়দার মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?
‘ধন্যবাদ’ বলতে শিখুন
‘ধন্যবাদ’ বলতে শিখুন
বিশ্বের একমাত্র নীল ফল চিহ্নিত করলেন বিজ্ঞানীরা
বিশ্বের একমাত্র নীল ফল চিহ্নিত করলেন বিজ্ঞানীরা
সৃজনশীলতার আন্তর্জাতিক মান গঠনে আইডেব-এর নতুন যাত্রা
সৃজনশীলতার আন্তর্জাতিক মান গঠনে আইডেব-এর নতুন যাত্রা