ইরানে বিক্ষোভ থামছেই না

প্রকাশিত: ০৪-১০-২০২২ ২০:৫৮

আপডেট: ০৪-১০-২০২২ ২০:৫৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পুলিশ হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। তিন সপ্তাহ ধরে চলমান এই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে বিভিন্ন শহরে। সোমবার তেহরানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামলে তাদের ওপর দমড়-পীড়ন চালায় পুলিশ। এই আন্দোলনের জন্য আমেরিকা ও ইসরাইলকে  দুষছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। অন্যদিকে, দমন-পীড়নের জন্য নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

পুলিশি হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় তেহরানসহ ইরানজুড়ে টানা ১৮দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। সোমবার এই বিক্ষোভে যোগ দেয় তেহরানের শরিফ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে সেই বিক্ষোভে দমাতে তাদের ওপর চাড়াও হয় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। আটক করা হয় অনেক শিক্ষার্থীকে। তবে, তাদের না ছাড়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ইরানের ছাত্র জনগণের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন পীড়ন চালানোর সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহিংস আচরণের কারণে ইরানকে চড় মূল্য দিতে হবে।

এদিকে, ইরানে চলমান বিক্ষোভের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।

সম্প্রতি ইরানে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। মানবাধিকার সংগঠনের হিসেবে বিক্ষোভে প্রাণ গেছে ১৩৩ জনের। গ্রেফতা করা হয়েছে হাজারো বিক্ষোভকারীকে।

 

SAI/habib