স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির মামলাগুলোর তদন্তে ধীরগতি

প্রকাশিত: ২৯-০৯-২০২২ ১৫:০১

আপডেট: ৩০-০৯-২০২২ ০৯:৩৬

এজাজুল হক মুকুল: দেশের স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে দুদকের করা মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই। সরকারি হাসপাতালে নিয়োগ-বদলি, যন্ত্রপাতি সরবরাহ, মেরামত, ওষুধ কেনায় অনিয়ম ছাড়াও করোনাকালে নিম্ন মানের মাস্ক-পিপিই সরবরাহ, স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার খরচের ভুয়া ভাউচারে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির ১৫টি অভিযোগের অনুসন্ধানে নামে দুদক। গত চার বছরে ২৭টি মামলা করে তারা। এরমধ্যে মাত্র ৫টির অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। 

করোনার নমুনা পরীক্ষার নামে জালিয়াতির ঘটনায় আলোচিত প্রতিষ্ঠান ছিল জেকেজি গ্রুপ পুলিশের করা জালিয়াতির মামলায় সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডাক্তার সাবরিনাসহ আট জনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে বিচারিক আদালত। তবে সাবরিনার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান দুই বছরেও শেষ করতে পারেনি দুদক। 

দুদক আইন অনুযায়ী, তদন্তকারী কর্মকর্তার সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার বাধ্যবাধকতা আছে। নির্ধারিত সময়ে তদন্তে অপারগ হলে কমিশন চাইলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। সময়মতো অনুসন্ধান তদন্ত শেষ না হওয়ায় দুদকে অভিযোগ মামলার সারি দীর্ঘ হচ্ছে। 

২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি-অনিয়মের জন্য আলোচিত ১৫ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের অবৈধ সম্পদ অর্জন, হাসপাতালে নিম্ন-মানের মাস্ক পিপিই সরবরাহ, ওষুধ যন্ত্রপাতি কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ আছে। রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা টিকার সনদ জালিয়াতি মামলা ছাড়া বাকিসব অভিযোগ এখনো অনুসন্ধান পর্যায়ে আটকে আছে।

গত চার বছরে বিভিন্ন হাসপাতালে কেনাকাটাসহ নানা অভিযোগে ২৭টি মামলা করে দুদক। অভিযোগপত্র জমা হয়েছে মাত্র ৫টির। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করতে পারার পেছনে দুদকের সদিচ্ছা গাফিলতি দেখছে টিআইবি। 

এছাড়া ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। এর মধ্যে ৫০ জনের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশও জারি করে। তবে, অধিকাংশের অনুসন্ধানই মাঝপথে এসে গতি হারিয়েছে।

EHM/sharif