তানজিলা নিঝুম: ২০১০ সালের পর থেকে পুঁজিবাজারে পুরোপুরি আস্থা ফিরে পায়নি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশি। দাম কমে গেলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয়ে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বড় কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন না। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, স্থিতিশীল বাজারের জন্য দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ হতে হবে। তাই কোম্পানি যাচাই বাছাই করে তালিকাভূক্তিতে ধীরগতি আনার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদও দিয়েছেন তারা।
দেশের পুঁজিবাজারের টানা দরপতন রোধে শেয়ারের দামের সর্বনি¤œ সীমা বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। ফলে চলতি মাসে বেশিরভাগ দিন বাজার উর্ধ্বমুখী ছিল। তবে টানা তিন কার্যদিবস ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতসপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে দরপতন হয়।
রোববার মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৫শ’ ৩৮ পয়েন্টে। ১শ’ ৮৬ কোটি ২০ লাখ টাকা কমে, লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৯১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আর শেষ কার্যদিবসে ২৭ পয়েন্ট বেড়ে মূল্যসূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ৫১৫ পয়েন্টে। ৬৫ কোটি টাকা কমে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৪২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
বাজার স্থিতিশীল রাখতে হলে লাভবান হলেই শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার প্রবনতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন ডিএসই’র সাবেক সহ-সভাপতি আহমদ রশীদ লালী।
বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য চাহিদার চেয়ে কোম্পানি বেশি তালিকাভূক্ত করাকে দায়ী করলেন অর্থনীতিবিদ হেলাল উদ্দিন।
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল না করে শুধু প্রচার-প্রচারনা দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব না বলে মনে করেন তিনি।
গতসপ্তাহের পুঁজিবাজারের চিত্র
কার্যদিবস লেনদেন (টাকা) সূচক (পয়েন্ট)
রবিবার ১ হাজার ৬৯১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৫৩৮
সোমবার ১ হাজার ৩৬০ কোটি ৭৪ লাখ ৬৫২৮
মঙ্গলবার ১ হাজার ৪৮০ কোটি ৭ লাখ ৬৫৩৭ (সবুজ)
বুধবার ১ হাজার ৩০৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৪৮৭
বৃহস্পতিবার ১ হাজার ২৪২ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫১৫ (সবুজ)
সূত্র: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ
Nijhum/sharif