নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৫ই আগষ্টের ষড়যন্ত্রের সব বৈঠকে জিয়াউর রহমান ছিলেন। জিয়াউর রহমান না থাকলে খুনিরা এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটাতে সাহস পেতো না বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যেই বুলেট শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে এতিম করে ছিল সেই বুলেট ষড়যন্ত্রকারীদের জন্যও অপেক্ষা করছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ই আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, পলাশী থেকে শুরু করে যারাই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলো তারা কেউ বাঁচতে পারেনি। জিয়াউর রহমানও বাঁচতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কে হত্যার পর কেউ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেনি। প্রতিবাদ না করার রাজনৈতিক ব্যর্থতা আওয়ামী লীগকে বহন করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ই আগষ্টে বঙ্গবন্ধুকে টার্গেট করা হয়েছিলো এবং ২১শে আগষ্ট টার্গেট করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে। বিএনপির আন্দোলন এখন সোনার হরিণ। ষড়যন্ত্র করে কাউকে হত্যা করতে পারবেন কিন্তু ক্ষমতায় যেতে পারবেন। ক্ষমতার সিংহাসন অনেক দূরে।
তিনি আরো বলেন, এবছরের শেষের দিকে এবং আগামী বছরের দিকে অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধন হবে তখন বিএনপির কষ্ট অনেক বেড়ে যাবে। দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে দেখতে বিএনপির চোখের পানি এবং নদীর পানি একাকার হয়ে যাবে।
১৫ তারিখ বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক কাটা হয়নি কিন্তু ১৬ তারিখ ঠিকই পালন করেছে। এখনো বেগম জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করা হয়। একটা মানুষের কয়টা জন্মদিন হতে পারে। সবশেষ তার ৬ষ্ট জন্ম তারিখ পাওয়া গেছে। খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করে দেশের জনগণের সাথে আর কতো তামাশা করবেন মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে এমন প্রশ্ন জানতে চান ওবায়দুল কাদের।
MHS/shimul