শেরপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দরিদ্র-পীড়িত জীবন

প্রকাশিত: ০৯-০৮-২০২২ ০৯:১৫

আপডেট: ০৯-০৮-২০২২ ১১:২৯

শেরপুর সংবাদদাতা: শেরপুরের সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস, যারা বেঁচে আছেন ক্ষুধা আর দারিদ্রের সাথে লড়াই করে। এদের মধ্যে রয়েছেন গারো, হাজং, কোচ, বানাইসহ ৭টি সম্প্রদায়ের মানুষ। যাদের বেশিরভাগই কর্মসংস্থানের অভাবে অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি করে সংসার চালান। প্রাকৃতিক  দুর্যোগ আর বন্যপ্রাণীর সাথে লড়াই করেই চলছে তাদের জীবন।

শেরপুর জেলার সীমান্ত ঘেঁষা তিনটি উপজেলা শ্রীবরদি, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে রয়েছে ২৫ হাজার একর পাহাড়ি বনভূমি। স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সদস্যদের বেশিরভাগই বসবাস করেন এই অঞ্চলে। জেলার সমতল ও পাহাড় মিলিয়ে এসব নৃগোষ্ঠীর ৭টি সম্প্রদায়ের প্রায় ২৬ হাজার সদস্যের বসবাস।  

নিয়ত লড়াই করেই যাদের টিকে থাকতে হয়। তাদের অভিযোগ, কোন রকম সরকারি সাহায্য পান না তারা। বয়স্ক ও বিধবাভাতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা। বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি সরু আঁকাবাকা পথ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। 

সম্প্রতি জনশুমারিতে তাদের প্রকৃত সংখ্যা ওঠে আসেনি বলেও অভিযোগ ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সদস্যদের। 

তারা চাইছেন সাংবিধানিক স্বীকৃতি। ভুমি কমিশন গঠনের জোর দাবিও তাদের। 

শেরপুরের পাহাড়ী জনপদে বসবাসরত এসব ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়াবে সরকার, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। 

 

 

AR/prabir