নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। সিলেটে সুরমাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমেছে, দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যার ক্ষত। তবে, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বন্যাকবলিতদের। এদিকে, সুনামগঞ্জে গেলো কয়েকদিনে সুরমাসহ অন্যান্য নদীর পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরছে বানভাসিরা। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আড়াইল লাখের বেশি মানুষ। পানি কমেছে নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম এবং লালমনিরহাটেও। রোববার রাতের বৃষ্টিতে সিলেটে সুরমা নদীর পানি কিছুটা বাড়লেও সোমবার সকাল থেকে আবারও কমতে শুরু করেছে। তবে পানি ধীরে কমায় দুর্ভোগ বাড়ছে বানভাসিদের। এদিকে, অমলশিদ ও শেওলা পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে ।
সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত কম থাকায় নিম্নাঞ্চলে পানি কমছে। ঘরে ফিরছে বানভাসীরা। ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগও কমেনি।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় এসব এলাকার ২ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়, মৌলভীবাজারে ১৪ হাজার ৩শ’ ৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নেত্রকোণার ১০ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে গত দুদিনে প্রায় দেড় লাখ মানুষ বাড়ি ফিরেছেন। তবে জেলার ১২০ টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও প্রায় দেড় লাখ মানুষ রয়েছে।
কুড়িগ্রামেও কমেছে বন্যার পানি। ধরলা ও দুধকুমারের পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে বইছে। তবে, চরাঞ্চলের নিচু এলাকায় অনেক ঘরবাড়ি এখনও তলিয়ে আছে। বন্যায় বহু জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। কাজ না থাকায় আর্থিক সংকটে পড়ছে নিম্নবৃত্তরা।
তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমায় লালমনিরহাটেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে, পানি কমলেও শুরু হয়েছে নদীভাঙ্গন।
MBK/ramen