প্রশিক্ষণ নিতে পর্তুগাল যাচ্ছে কাকলী

প্রকাশিত: ১৭-০৬-২০২২ ০৮:৫০

আপডেট: ১৭-০৬-২০২২ ০৯:২৮

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা: ফুটবলে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য পর্তুগালে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে কাকলী আক্তার রানী। ২০২১ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেও অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রমের মাধ্যমে আবার ফিরে এসেছেন ফুটবল মাঠে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছে কাকলী। 

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের আবুল কাশেম ও বানেসা বেগমের মেয়ে কাকলী। ভ্যানচালক বাবা ও গৃহিনী মায়ের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সে। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে কাকলী। ফুটবল তার নেশা। পড়াশোনার পাশাপাশি রাণীশংকৈল উপজেলার রাঙাটুঙ্গী ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমিতে নিয়মিত অনুশীলন করতো কাকলী। 

পরে রাণীশংকৈল উপজেলা দলের হয়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। জায়গা করে নেয় রংপুর বিভাগীয় দলে। ২০২১ সালে বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবলে জাতীয় পর্যায়ে রংপুর বিভাগীয় দলের চাম্পিয়ান হওয়ার কৃতিত্ব অনেকটাই কাকলীর। 

অভাবে থেকেও পরিশ্রম ও একাগ্রতায় কাকলী অর্জন করেছে এই সাফল্য। তার সাফল্যে হাসি ফুটেছে পরিবারের মুখে।

অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়সহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১১ জন ফুটবলার পর্তুগালে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে। সেরা এগারোর মধ্যে কাকলীও নির্বাচিত হয়েছে। 

রানীর সঙ্গে পর্তুগালে যাচ্ছে রংপুরের পালিচড়া গ্রামের নাসরিন, মৌরাশি, রেখা আক্তার, শাম্মি আক্তার, খাগড়াছড়ির সেনারি চাকমা, চুয়াডাঙ্গার বিদিশাসহ ১১ ফুটবলার।

rocky/ramen