নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন স্বনামধন্য সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী। শনিবার (২৮শে মে) দুপুরে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। জানানো হয় রাষ্ট্রীয় সম্মান। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পর স্পিকার, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে জানানো হয় শ্রদ্ধা। এর আগে, সকালে দেশে পৌঁছায় নির্ভীক এই কলমযোদ্ধার মরদেহ।
সেই শহীদ মিনারে আনা হলো নির্ভীক কলমযোদ্ধা আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ। যে শহীদ মিনার আর ভাষা আন্দোলনের চেতনা উর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য রচনা করেছিলেন তাঁর অমর সৃষ্টি ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি। গত ১৯ শে মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। লাল সবুজের পতাকায় মোড়ানো কফিনে করে মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়ার পর শোকের ছায়া নামে প্রাঙ্গনণজুড়ে।
দেয়া হয় গার্ড অফ অনার। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ফুলেল শ্রদ্ধা জানান স্পিকার ও আওয়ামী লীগের নেতারা। শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সামাজিক, সংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এর আগে সকাল সোয়া এগারোটায় আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ বহনকারী বিমান ঢাকায় এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে সরকারের পক্ষ থেকে তার মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। জানাজার পর শেষবিদায় জানান বন্ধু, সহকর্মী, স্বজনেরা। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। সেখানে স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয় কিংবদন্তী এই সাংবাদিককে।
AR/ramen