মাবুদ আজমী: মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মাঝেমধ্যে ওষুধ ছিটালেও মশা না কমায় এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন নগরবাসীর মনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মশা মারতে নতুন ওষুধ আনছে। আর মশার প্রজননস্থলগুলো ধ্বংসের অভিযান শুরু করেছে উত্তর সিটি করপোরেশন।
ঢাকা এখন যেন মশার নগরী। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই মশার উৎপাতে নাজেহাল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা। বস্তি বা বহুতল ভবন সব জায়গায় মশার দৌরাত্ব সমান।
দিন-রাত মশার কামড়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী। সন্ধ্যা নামলেই মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। নগরবাসীর অভিযোগ মশা মারতে মাঝে মাঝে ওষুধ ছিটানো হলেও কমছে না মশা। ওষুধের ধোয়া শেষ হওয়ার পর আবারো মশার যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। এজন্য সিটি করপোরেশনের ওষুধের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নগরবাসী।
মশার যন্ত্রনায় দিনের বেলায়ও মশারি টানিয়ে থাকতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। মশাবাহিত রোগ থেকে শিশুদের রক্ষায় এই বাড়তি ব্যবস্থা।
মশা মারতে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানো হলেও তা তেমন একটা কার্যকর নয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করেও আশানুরূপ ফল মিলছে না।
মশা নিধনে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওষুধের কার্যকারিতা কম হওয়ায় নতুন করে আনা হচ্ছে ওষুধ। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন ওষুধ আসবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ। আর উত্তর সিটি করপোরেশন জানিয়েছে মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে অভিযানে নামছে তারা।
তারা বলছেন অন্যান্য বছরের তুলনায় রাজধানীতে এ বছর মশা বেড়েছে। চলতি মার্চে মশার ঘনত্ব সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছানোর শঙ্কাও তাদের।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন