অনলাইন ডেস্ক: প্রকৃতিতে নবরূপে এসেছে বসন্ত। তবে শীত যেন যাই যাই করেও যাচ্ছে না। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে সর্দি কাশির সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো এসব সমস্যা সমাধনে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ ও সনদপ্রাপ্ত ডায়াবেটিস প্রশিক্ষক ডা. অর্চনা বাতরার মতে, ‘কিছু খাবার ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও প্রদাহ নাশক উপাদান সমৃদ্ধ যা আমাদেরকে ঋতুভিত্তিক ব্যাধি থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।’
জেনে নিন এমন খাবার সম্পর্কে:
আদা: প্রাকৃতিক প্রদাহরোধী, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’ ও ক্যান্সার-রোধী উপাদানে সমৃদ্ধ আদা। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ঠাণ্ডাজনিত বমিভাব কমায়।
চায়ের সঙ্গে কাঁচা আদা খেতে পারেন। ভাইরাল সংক্রমণ এড়াতে সিদ্ধ করা আদা জল ঠাণ্ডা করেও পান করতে পারেন।
মধু: বিভিন্ন রোগের ওষধ হিসে প্রাচীনকাল থেকেই মধু ব্যবহার হয়ে আসছে। এতে ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান রয়েছে। মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও দেহকে আর্দ্র রাখতে ভূমিকা রাখে। এর ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’ উপাদান ঠাণ্ডা-কাশি ও গলা ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।
সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করলে উপকার মিলবে। চয়ের সাথেও পান করা যাবে।
রসুন: মধুর মতো রসুন ও প্রাচীন ভেষজ। এতে রয়েছে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাস রোধী উপাদান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। নিয়মিত রসুন খেলে ঠাণ্ডা কাশির ঝুঁকি কমে।
খুব বেশি ঠাণ্ডা লাগলে প্রতিদিন সকালে কাঁচা রসুন খেলে উপকার পওয়া যাবে। রসুনের সুপ বা ঝোল তৈরি করেও খাওয়া যায়। এতে গলা ব্যথা কমবে ও শরীর উষ্ণ থাকবে।
দই: ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন ও উপকারী প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার দই। এই সকল পুষ্টি উপাদান রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও সাধারণ ঠাণ্ডা কাশির ঝুঁকি কমায়। এটা রোগীর অসুস্থতার সময়ে প্রয়োজনীয় ক্যালরি সরবারহ করে।
তবে জমাট সর্দির সমস্যা থাকলে দই খাওয়া এড়ানো উচিত।
সবুজ শাক সবজি: সুস্থ থাকতে সবুজ শাক সবজি খাওয়ার বিকল্প নেই। সবুজ খাবার বিপাকে সহায়তা করে ও অপ্রয়োজনীয় ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে। ভিটামিন এ, কে, সি, আঁশ ও খনিজ উপাদান সাধারণ সর্দি দ্রুত উপশমে সহায়তা করে।
মুরগির সুপ: প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন, প্রোটিন ও ক্যালরি সমৃদ্ধিএই খাবার অসুস্থ শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান যোগাতে সহায়তা করে। ইলেক্ট্রোলাইট উপাদান সমৃদ্ধ হওয়ায় জ্বর নিরাময়েও ভূমিকা রাখে। মুরগির মাংসে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ঠাণ্ডা কাশির সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে।
ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেরই ঠাণ্ডার সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে তাই সতর্ক থাকতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, শরীর আর্দ্র রাখা ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রমও করতে হবে।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন