খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা: করোনা অতিমারির মধ্যেও পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে খাগড়াছড়ির কিছু উদ্যোমী তরুণ শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক ও উন্নয়ন কর্মী। তারা অনলাইনে এসব ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাতে সাড়াও মিলেছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের একটি কক্ষে চলে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, অন্য কক্ষটি কার্যালয়। করোনা অতিমারির কারণে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বন্ধ। রিসোর্স সেন্টারের প্রশিক্ষণ কক্ষে এখন চলে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষায় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের রেকর্ডিং। এ পর্যন্ত তিনটি ভাষায় অনলাইনে ১১৮টি ক্লাস প্রচার হয়েছে। আর তা করা হয়েছে, চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষায় প্রকাশিত প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির পাঠ্যসূচি অনুযায়ী।
এই কার্যক্রমের সাথে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষার ২৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ৩৫ জন সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। কোন সম্মানী ছাড়াই এরা ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন। শিশুদের আকৃষ্ট করতে অনলাইন ক্লাসে ‘পাপেট’ ব্যবহার করা হয়। তিন ভাষার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ‘পাপেট চরিত্র’। এসব ক্লাসে সাড়াও মিলেছে ভাল।
পাহাড়ের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার তিনটি ভাষায় ক্লাস অনলাইনে প্রচার করায় শিক্ষার্থীরা লাভবান হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের সকল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা শিক্ষার কার্যক্রম প্রচারে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন