পার্থ রহমান: রাজধানীর একদিকে বুড়িগঙ্গা, অন্য তিনদিকে শীতলক্ষ্যা, বালু আর তুরাগ নদ। কিন্তু দখলদারিত্বের কারণে অস্তিত্ব সংকটে এসব নদ-নদী। কোথাও শিল্প-কারখানা, কোথাও বাড়িঘর আর কোথাওবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে চলছে নদী দখল। অনেকে নদীর ভেতরের জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন ইটের ভাটা।
প্রাচীনকালের অনেক সভ্যতাই গড়ে উঠেছিলো নদী তীরবর্তি অববাহিকায়। তেমনিভাবেই একসময় বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠে রাজধানী ঢাকা। কিন্তু দখলদারিত্বের কারণে বিপন্ন এই নদী। একই অবস্থা ঢাকার চারপাশ ঘিরে থাকা বালু, তুরাগ আর শীতলক্ষ্যারও।
ঢাকা শহরের চারপাশ ঘিরে আছে ৬০ কিলোমিটারেরও বেশী নদ-নদী। শতবছর আগের সিএস জরিপ অনুযায়ী নদীর যে সীমানা ছিলো, দখলদারিত্বের কারণে তা এখন অর্ধেকেরও নীচে নেমে এসেছে।
বুড়িগঙ্গা ও বালু নদের সীমানার মধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা। বিভিন্ন ভবন গড়ে তোলা হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে। আর তুরাগ দখল করে গড়ে ওঠেছে একের পর এক ইটভাটা। নদনদীর পাড় দখল করে বসতবাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার চিত্র আছে প্রায় সব এলাকায়।
গবেষকরা বলছেন, সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে ভূমিহীন, সবাই নদী দখলের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। দখলবাজদের লাগাম টানতে না পারলে নদীগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
নদনদী রক্ষায় দখলদারদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন জোরদারের পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ চাইলেন বিশেষজ্ঞরা।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন