নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ ও মানবপাচারের মামলায় কুয়েতে গ্রেফতার হওয়া স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে সেদেশের আদালত চার বছরের কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা এমন প্রশ্নও সামনে এসেছে।
আইনবিদগণ বলছেন, বিদেশের মাটিতে কোন সংসদ সদস্যের কারাদণ্ডের নজির এই প্রথম। সংবিধানে সুনির্দিষ্ট কিছু না থাকলেও নৈতিকতার বিবেচনায় পাপুলের সংসদ সদস্য পদ থাকা উচিত নয় বলে মত দেন তাঁরা।
গত বছরের ৭ই জুন অর্থ পাচার ও মানব পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েত পুলিশ। পরে ঘুষ লেনদেনের মামলায় কুয়েতের আদালতে তার ৪ বছরের কারাদন্ড হয়। তার বিরুদ্ধে কুয়েতে আরো ২টি মামলা বিচারাধীন আছে। বিদেশের আদালতে একজন সংসদ সদস্যের দোষী সাবস্ত হওয়ার নজিরবিহীন ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গন ও জনমনে সৃষ্টি হয়েছে কৌতুহল। দণ্ডিত হওয়ায় তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন পাপুল ও তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে অর্থ পাচারের মামলা করেছে। দুদকের আইনজীবী বলেছেন দেশের আইনে কোন সংসদ সদস্যের ২ বছরের বেশি সাজা হলে সদস্য পদ হারাবেন। তবে বিদেশের আদালতে সাজা হলে কি হবে তা স্পষ্ট নয়।
একজন আইন প্রণেতা হিসেবে ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে পড়া- সে দেশে হোক বা বিদেশে হোক- নৈতিক বিবেচনায় তার সংসদ সদ্যপদ থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন আপিল বিভাগের প্রাক্তন বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
পাপুল বর্তমানে কুয়েতের কারাগারে আছেন। কুয়েতে তার সম্পদের তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন