লাবণী গুহ: করোনাসহ নানা ধরনের ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক বলছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। দেশেও মাস্ক পরাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে, বেড়েছে নানা রকমের মাস্কের ব্যবহার। তবে, এসব মাস্ক তৈরি ও বিপণণ পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। আবার যেসব প্রতিষ্ঠান ৪ স্তরের ফিল্টারযুক্ত সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরি করছে, বাজারে সেগুলো নিুমানের মাস্কের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।
রাজধানীর বাবুবাজারে দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর নিচে মাস্কের পাইকারি হাট। যেখানে খোলা জায়গায় প্যাকেট ছাড়াই নানা ধরণের সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো আনুমানিক ১০ ধরণের মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে এই হাটে। এরমধ্যে নন ওভেন ফেব্রিকসের পাতলা সার্জিক্যাল মাস্ক, ওভেন কাপড় ও নিট কাপড়ের মাস্ক বেশি। এছাড়াও আছে বিদেশ থেকে আমাদানী করা কেএন নাইনটি ফাইভ, এন নাইনটি ফাইভ, নিঞ্জা, পিপি, উভেনসহ আরো কিছু মাস্ক।
বাজারে এসব সার্জিক্যাল মাস্কের বেশিরভাগের মধ্যেই ভাইরাস প্রতিরোধী ফিল্টার নেই। তিনস্তরের মাস্কের ভেতরে পাওয়া যায় সাধারণ টিস্যুপেপার। এমনকি, আমদানীকৃত মাস্কের মধ্যেও নেই ফিল্টার।
ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রস্তুতকারী দেশি প্রতিষ্ঠান জেএমআই গ্র“প তাদের নিজস্ব কারখানায় তৈরি করছে ৪ স্তর বিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক। অটোমেটেড মেশিনে কোন ধরণের হাতের স্পর্শ ছাড়াই তৈরি হচ্ছে ভাইরাস প্রতিরোধী ফিল্টার যুক্ত এসব মাস্ক।
পাইকারি বাজারের বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নন ব্র্যান্ডেড ৫০ পিসের এসব সার্জিক্যাল মাস্ক ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা অন্যরা বিভিন্ন ফার্মেসি ও ফুটপাতে প্রতি পিস ৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। তবে, জেএমআই এর মাস্ক এই দামে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি জানান, তাদের তৈরি মাস্ক ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন ল্যাব থেকে পরীক্ষায় গুনগত মানে উত্তীর্ণ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : কারাগারে মুশতাক...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন