চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বড় দুই দলেই রয়েছে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী। ছোট বড় সংঘাতেও জড়াচ্ছে তাদের সমর্থকরা। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এদিকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের উপহার দিতে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ও ৫টি তে বিএনপির বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগেই সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মিলে ৪১টি ওয়ার্ডে রয়েছে ১১৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী। যার ১১ জনই সাবেক কাউন্সিলর। বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় সংঘাতেও জড়াচ্ছে সমর্থকরা। গেল ১২ই জানুয়ারি ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে মগপুকুর পাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও 'বিদ্রোহী' প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়।
বিদ্রোহী প্রার্থীরা জানান এলাকার মানুষের আগ্রহ ও চাপে পড়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা।
তবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রভাব মেয়র পদের ভোটের ওপর পড়ার আশংকা উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী।
এদিকে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন জানান তার দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন।
বড় দুই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে বিঘিœত না হয় সেজন্য সতর্ক আছে নির্বাচন কমিশনও।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন