তাসলিমুল আলম: সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান-এমডিসহ শতাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে ঋণ জালিয়াতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ পাচারসহ ব্যাংক নীতিমালা লঙ্ঘণের নানা অভিযোগ। এদের অবৈধ সম্পদেরও খোঁজ করছে দুদক।
বেনামে ঋণ নিয়ে এবং শেয়ার কিনে শত শত কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে শুরু করেছে দুদক।
এছাড়া, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফাস্ট ফাইন্যান্সের এমডি তুহিন রেজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ। জীবন বীমার আমানতের অর্থ ফেরত না দেয়ার অভিযোগও রয়েছে দুদকের কাছে।
দুদক সূত্র বলছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়াম্যান, এমডিসহ শতাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে; যারা রয়েছে দুদকের নজরদারীতে। এদের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান, ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান জয়নুল হক শিকদার, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের সাবেক এমডি ইফতিখার-উজ-জামান, এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, ও সাবেক এমডি মশিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ও কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন, ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর নাম। তাদের বিরুদ্ধে দুদকে একাধিক অনুসন্ধান ও মামলা চলমান আছে।
বিচার না হওয়া বা বিলম্বিত হওয়ায় ব্যাংক খাতের অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
১.নিজ নামে ৫২ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয়
২.বাড়ির দারোয়ানের নামে ৮ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয়
৩. বাড়ির বুয়ার নামে ৭ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয়
৪. ড্রাইভারের নামে ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়
সর্বমোট ৬৮ কোটি টাকার লোপাটের অভিযোগ ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে
দুদকের নজরদারীতে যারা
১. মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অগ্রণী ব্যাংক।
২. আতাউর রহমান প্রধান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সোনালী ব্যাংক।
৩. জয়নুল হক শিকদার, চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল ব্যাংক।
৪. ইফতিখার-উজ-জামান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ।
৫. এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান, এবি ব্যাংক।
৬. মশিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এবি ব্যাংক।
৭. শামীম আহমেদ চৌধুরী, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এবি ব্যাংক।
৮. সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।
৯. এস এম আমজাদ হোসেন, চেয়ারম্যান, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ও কমার্স ব্যাংক।
১০. মাহবুবুল হক চিশতী, অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান, ফারমার্স ব্যাংক।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন