তারেক সিকদার: ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে যমুনা নদীর উপর আলাদা আরেকটি সেতু হচ্ছে। প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলসেতুর নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। ’যা চালু হলে বাড়বে ট্রেনের গতি ও সংখ্যা। নতুন এই সেতু নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ভূমি হস্তান্তর করেছে ‘বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ’। পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগও শেষ। আগামী ২৯ নভেম্বর সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে বর্তমানে ট্রেন চলে সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে। সড়ক পথের পাশাপাশি প্রতিদিন এই সিঙ্গেল লাইন রেলপথে ২০ জোড়া ট্রেন আসা-যাওয়া করলেও চলতে পারেনা বড় ও ভারী কন্টেইনারবাহী ট্রেন। সংকট সমাধানে প্রয়োজন হয়ে পড়ে আরেকটি সেতু।
তাই যমুনা নদীর ওপর মূলসেতুর পাশেই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় একক রেল সেতু নির্মিত হতে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলাকে সংযোগকারী এই সেতুর দৈর্ঘ্য আগের সেতুর সমান অর্থাৎ ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার।
দেশের রেল যোগাযোগ খাতের সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় শুরুতে ৯ হাজার ৭শ’ ৪০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭শ’ ৮০ কোটি টাকায়। এর মধ্যে জাইকা ৭২ শতাংশ ও বাংলাদেশ সরকার ২৮ শতাংশ ব্যয় বহন করবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, ডাবল লাইন এই রেল সেতুর জন্য ৪ শ’ ৩১ একর জমি নেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
এই সেতু যেমন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগ সহজ করবে, তেমনি সাশ্রয় হবে সময়ের। এই সেতুতে ট্রেনের গতি হবে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার। আর নতুন এই সেতু চালু হলে দিনে ৮৮টি ট্রেন চলতে পারবে।
প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হলেও তা ২০২৪ সালেই শেষ হবে বলে আশা রেল কর্তৃপক্ষের।
তাসলিমুল আলম: সরকারি-বেসরকারি...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন