কাজী বাপ্পা: নতুন প্রত্যাশা নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে নতুন বছরের। বাংলাদেশের সামনে অন্তত ১৫টি খাতকে দ্রুত উন্নতির ক্ষেত্র হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেসব খাতের অগ্রযাত্রা এবং ভবিষ্যতে সম্ভাবনার দুয়ারগুলো নিয়ে নববর্ষে বৈশাখীর মাসব্যাপী ধারাবাহিক আয়োজনে আজ অটোমোবাইল খাত নিয়ে দুটি প্রতিবেদনের প্রথমটি।
প্রায় সতেরো কোটি মানুষের বাংলাদেশে বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১৯’শ ৬ মার্কিন ডলার। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিবেচনায় বেড়েছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও। ফলে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের মোটরযান খরিদ ও ব্যবহারের পরিমাণ। আর সেই চাহিদা থেকেই দেশে গড়ে উঠেছে সম্ভাবনাময় অটোমোবাইল শিল্প।
দেশে বর্তমানে অটোমোবাইল শিল্পের বাজারের আকার প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর সিংহভাগই আমদানি নির্ভর। দেশের বাজারে যেসব রিকন্ডিশনড গাড়ি এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় তার অধিকাংশই আসছে জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জার্মানি, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
আশির দশক থেকে দেশে তিন চাকার অটোরিক্সা তৈরি শুরু হলেও দুই চাকার মোটর সাইকেলের উৎপাদন শুরু হয় ২০০০ সাল থেকে। বর্তমানে ওয়ালটন গ্রুপ মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে। তবে চার চাকার বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য এখনও বহুলাংশে নির্ভর করতে হচ্ছে জাপান ও ভারতের ওপর।
দেশে ২০টি প্রতিষ্ঠান আমদানি করা মোটরযান সংযোজন এবং স্বল্প পরিসরে গাড়ি উৎপাদন করছে। এদের মধ্যে প্রগতি মোটরস লিমিটেড একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরীণ বাজারে যেটি নামমাত্র ভূমিকা রাখছে। এই খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অবদানের শীর্ষে আছে নিটোল মোটরস (৪০%), ইফাদ অটোজ (৩৮%) এবং রানার মোটরস লিমিটেড (১০%)। দেশের মোট চাহিদার মোটামুটি আটাশি শতাংশই পূরণ করছে তারা। তবে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের রফতানি শূন্যের কাছাকাছি।
কাজী বাপ্পা: নতুন প্রত্যাশা নিয়ে...
বিস্তারিতসুমন তানভীর: নতুন প্রত্যাশা নিয়ে...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন