সুমন তানভীর: নতুন প্রত্যাশা নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে নতুন বছরের। বাংলাদেশের সামনে অন্তত ১৫টি খাতকে দ্রুত উন্নতির ক্ষেত্র হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেসব খাতের অগ্রযাত্রা এবং ভবিষ্যতে সম্ভাবনার দুয়ারগুলো নিয়ে নববর্ষে বৈশাখীর মাসব্যাপী ধারাবাহিক আয়োজনে আজ হালকা প্রকৌশল শিল্প খাত নিয়ে দুটি প্রতিবেদনের দ্বিতীয়টি।
বিশ্ববাজারে চাহিদার কথা চিন্তা করলে প্রকৌশল শিল্পের ধারে কাছে নাই পোশাক শিল্প। বিশ্বে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের চাহিদা যেখানে প্রায় আটশো বিলিয়ন, সেখানে হালকা প্রকৌশল শিল্পের বাজার রয়েছে প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের। দেশের বাজারেও চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। তবে ধোলাইখাল-জিঞ্জিরা নির্ভর সম্ভাবনাময় এ শিল্পের বিকাশে প্রয়োজন সরকারি নীতি সহায়তা।
প্রায় ৫০ হাজার কারখানার শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে বিটাকের মাত্র পাঁচটি শাখা। এছাড়া বিএমইটি, পলিটেকনিক ও ভকেশনাল প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও কিছু দক্ষ কর্মী বের হচ্ছে।
এ শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা কর বৈষম্য। শিল্পের মেসিনারিজ আমদানি করতে এক শতাংশ কর দিতে হলেও একই পণ্য দেশে উৎপাদন করে বাজারজাত করতে মূল্য সংযোজন ও শুল্কের নামে প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।
হালকা প্রকৌশল শিল্পের করের মধ্যে রয়েছে, মূসক ১৫%, কাঁচামাল আমাদানি ৫ থেকে ২৫%, অগ্রিম ট্যাক্স ৫% এবং অগ্রিম আর কর ৫%।
এ অবস্থায় আমদানি করা হালকা প্রকৌশল পণ্যের সাথে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য টিকতে পারছে না। এছাড়া রপ্তানিও কমছে। তবে সম্প্রতি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের হালকা যন্ত্রাংশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। এছাড়া আরো সতের’টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের এই পণ্য। এ শিল্পকে আরো প্রসারিত করতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা জানালেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
পৃথিবী যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে হাঁটছে তখনও বাংলাদেশের হালকা প্রকৌশল শিল্পে লাগেনি প্রযুক্তির তেমন কোনো ছোঁয়া। তবুও মেধা ও নিজেদের উদ্যেগে এখানে তৈরি হচ্ছে ভারি এসব যন্ত্রাংশ। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই পণ্যগুলো একদিন ‘মেইড ইন বাংলাদেশের’ তকমা নিয়ে দাপিয়ে বেড়াবে বিশ্বময়। সেইসঙ্গে দেশকে নিয়ে যাবে এক উন্নত দেশের কাতারে।
কাজী বাপ্পা: নতুন প্রত্যাশা নিয়ে...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন