এস.এম.সুমন: গুলিস্তানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ক্লাবের আবাসিক জায়গাতে খেলোয়াড় থাকতো না। আর সেই সুযোগটি নিতো প্রত্যেক সরকার ও সরকারী দলের প্রভাবশালীরা। তারা পর্দার আড়ালে থেকে জুয়া, হাউজি এবং পরবর্তীতে ক্যাসিনোর মতো কলঙ্কজনক বাণিজ্যও করেছেন। ক্যাসিনো শেষমেশ ক্লাবে তালাও ঝুলিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা শব্দটি দেশের মানুষের কাছে চির অমলিন গর্বের। কিন্তু এই নামের ক্লাবটি কলঙ্কের কালিমায় সমালোচিত এবং টিকে আছে ধুকে ধুকে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এখানে নিয়মিতভাবে চলতো কখনো জুয়া, হাউজি, ওয়ানটেন খেলা। আর গুলিস্তানের ক্লাবটিতে খেলোয়াড়দের আড্ডার বদলে প্রতি সন্ধ্যায় হতো অবৈধ পথে টাকা আয়ের আয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবত হয়ে ক্লাবটিকে এগিয়ে নেবার যে প্রত্যয় প্রত্যাশিত ছিল সেটা বিভিন্ন সমযে ক্লাবের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়নি। হাউজি, জুয়ার পর গত এক বছর ধরে সেখানে নিয়মিতভাবে চলছিল পাশ্চাত্যের জুয়ার আসর ক্যাসিনো। যা ছিল অবৈধ। ২০১০ সাল থেকে আলী আহমদ নামের এক ব্যবসায়ী ক্লাবটি ভাড়া নিয়ে হাউজি, জুয়া চালিয়ে আসছিলেন। তিনিই গত এক বছর সেখানে ক্যাসিনো চালান। তবে এই ক্লাবে ক্যাসিনো বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতো যুব লীগের আলোচিত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট, জি.কে শামীম ও খালেদ ভূঁইয়ার মতো প্রভাবশালীরা। প্রাণ ভয়ে এই বিষয়ে ক্লাব সংশ্লিষ্ট কেউ ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি নন এখনও। তবে আলী আহমদের কাছে ক্লাবের এখনো বকেয়া পাওয়া প্রায় ১৩ কোটি টাকা। ক্যাসিনোর সাথে আবাসিক খেলোয়াড়দের সম্পৃক্ততা না থাকলেও কর্মকর্তাদের অনেকে এই আয়োজনের সাথে মেতে থাকতো বলে কারও কারও ধারণা। ক্যাসিনোর মত বিশাল অবৈধ আয়োজনে অর্থ উপার্জনের পরও ক্লাবটির হতাশার চিত্র কাটেনি কখনও।
/admiin