বিশ্বকাপের শুরু ও শেষটায় ভিন্ন অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ২০-১১-২০২৩ ১৫:৫৫

আপডেট: ২০-১১-২০২৩ ১৫:৫৫

ক্রীড়া ডেস্ক: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের এবারের আসরে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গেলেও সময় যত এগিয়েছে, নিজেদের ততই মেলে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া। এবারে শিরোপা জয়ের পেছনে কয়েকজন খেলোয়াড়ের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। তাদের মধ্যে আছেন ফাইনালে জয়ের নায়ক ট্রাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেন। অথচ বিশ্বকাপে দলে তাদের জায়গা পাওয়া ছিল অনিশ্চিত। শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ডেভিড ওয়ার্নার ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি অ্যাডাম্প জাম্পার। আর, প্যাট কামিন্সের কৌশলী নেতৃত্বের কথা বলাই বাহুল্য। 

বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসরের শুরুর দিকের ম্যাচগুলোতে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা দলটি একে একে সব বাঁধা পার করে জায়গা করে নেয় ফাইনালে। টুর্নামেন্টের অপ্রতিরোধ্য দল ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে আসিরা। 

বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ের নায়ক ছিলেন আজি ওপেনার ট্রাভিস হেড। অথচ বিশ্বকাপের আগে হুট করে হেড ইনজুরিতে পরায় তাকে দলে রাখা না রাখা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। শেষ পর্যন্তহেডকে নিয়েই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে আজিরা। পাঁচ ম্যাচ পর দলে ফিরে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিজের অভিষেকে সেঞ্চুরি করেন হেড। আর বিশ্বকাপের ফাইনালে ১২০ বলে ১৩৭ রান করে নতুন করে রূপকথার গল্প লেখেন।  

বিশ্বকাপ জয়ের আরেক পার্শ্ব নায়ক মার্নাস লাবুশেন। অথচ তাকে বিশ্বকাপে স্কোয়াডেই রাখা হয়নি। অ্যাস্টন আগার ইনজুরিতে পড়ায় বিশ্বকাপে সুযোগ মেলে তার। আর সেই সুযোগ কাজে লাগান লাবুশেন। ফাইনালে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই অজি তারকা। 

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন ডেভিট ওয়ার্নার। ১১ ম্যাচ খেলে দুই সেঞ্চুরিতে ৫৩৫ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি অ্যাডম্প জাম্পা। ১১ ম্যাচ খেলে ২৩ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া, প্যাট কামিন্সের কৌশলী নেতৃত্ব ও পুরো টুর্নামেন্টে জুড়ে মিচেল স্টার্কের আগুন ঝড়া বোলিং অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ জয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছে।

 

Saju/prabir