আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ লেক টিটিকাকার পানির স্তর রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে। পেরুর জাতীয় আবহাওয়া ও জলবিদ্যা বিভাগ জানিয়েছে চলতি বছরে লেকটিতে গত বছরের তুলনায় ৪৯ শতাংশ পানি কমেছে। তিন দশক ধরে প্রতিবছর লেকটি ১২০ মিলিয়ন মেট্রিকটন পানি হারাচ্ছে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে তীরবর্তী ৩০ লাখ বাসিন্দা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেখানকার কৃষি ও পর্যটন খাত।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু ও বলিভিয়ার সীমান্তে অবস্থিত টিটিকাকা হ্রদ। যা দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ এবং এই হৃদে বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক নৌযান চলাচল করে। তবে হৃদটিকে অধিক পরিচিতি দিয়েছে এর ওপরের ভাসমান দ্বীপগুলো। নলখাগড়ায় তৈরি এসব দ্বীপ দেখতে প্রতি বছর ভীড় করে হাজারও পর্যটক। মূলত কৃষি আর পর্যটন খাতের ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছে এখানকার অর্থনীতি।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উদ্বেগজনকহারে কমছে টিটিকাকা লেকের পানি। ২০২২ সালের তুলনায় লেকটির পানি বর্তমানে ৪৯ শতাংশ নিচে নেমে গেছে। পেরুর জাতীয় আবহাওয়া ও জলবিদ্যা বিভাগের তথ্যমতে, ১৯৯২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর লেকটির ১২০ মিলিয়ন মেট্রিক টন পানি শুকিয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে আগামীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এর অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে।
লেকের পানি কমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে তীরবর্তী অন্তত ৩০ হাজার বাসিন্দা। যাদের অধিকাংশের পেশা মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও পর্যটকবাহী নৌকা চালানো। লেকের পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে কৃষিক্ষেত্রে সেচ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে কমে যাচ্ছে উৎপাদন। নৌযান চলাচল ব্য্হত হওয়ায় পর্যটক আগমনও কমে যাচ্ছে। এসব কারণে লেক তীরবর্তী অঞ্চলের অনেকে জীবিকার তাগিদে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
shamima/habib