দক্ষিণ চীন সাগরে মহড়া ঘিরে উত্তেজনা

প্রকাশিত: ০৩-১০-২০২৩ ১৬:২২

আপডেট: ০৩-১০-২০২৩ ১৬:২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই অঞ্চলটিতে মিত্রদেশগুলোকে নিয়ে সামরিক মহড়া শুরু করেছে ফিলিপিন্স ও যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার শুরু হওয়া দুই সপ্তাহের এই বহুপাক্ষীক সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে ফিলিপিন্সসহ আটটি মিত্রদেশ। অত্যাধুনিক অস্ত্র সজ্জিত এই মহড়া অঞ্চলটিতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশংকা বিশেষজ্ঞদের। এদিকে, দক্ষিণ চীন সাগরের এই চলমান উত্তেজনার জন্য ফিলিপিন্সকে দায়ী করছে চীন। 

দক্ষিণ চীন সাগরের ১৩ লাখ বর্গ মাইল এলাকাকে দীর্ঘদিন থেকেই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। সম্প্রতি নিজেদের দাবির ভিত্তিতে অঞ্চলটির মানচিত্রও প্রকাশ করেছে বেইজিং। এরই জেরে প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে ক’টনৈতিক সম্পর্ক অবনতি হয়েছে চীনের। এরইমধ্যে সামুদ্রিক অঞ্চলটিতে ভাসমান বাঁধ স্থাপন ও অপসারণ ঘিরে চীন ও ফিলিপিন্সের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।

চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলোকে সাথে নিয়ে বহুপাক্ষিক সামড়িক এই মহড়া শুরু করেছে ফিলিপিন্স। ‘মেরিটাইম ট্রেনিং অ্যাক্টিভিটি সামা সামা-২০২৩’ শীর্ষক এই সামরিক মহড়াটি মূলত ফিলিপিন্সের দক্ষিণ লুজন সীমান্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুই সপ্তাহের মহড়ায় দেশটির সাথে অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান এবং মালয়েশিয়ার সামরিক বাহিনী।

অঞ্চলটিতে চীনের আধিপত্য কমাতেই এই সামরিক মহড়া বলে জানিয়েছে ফিলিপিন্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে সামা সামা-২০২৩ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটদেশের এই মহড়ায় স্থল সমরসজ্জার পাশাপাশি অত্যাধুনিক সাবমেরিন, সারফেস এবং এয়ার ওয়ারফেয়ার রয়েছে। এতে দেশগুলোর অন্তত ১৮’শো সেনাসদস্য অংশ নিচ্ছে। 

তবে অঞ্চলটি ঘিরে এই উত্তেজনার জন্য ম্যানিলাকে দায়ী করছে বেইজিং। ফিলিপিন্সের ছড়ানো ক্রমাগত মিথ্যা তথ্যই অঞ্চলটিতে সামুদ্রিক সংঘাতের আশংকা বাড়িয়ে তুলছে বলে জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

 

shamima/prabir