জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা, দেয়াল ও পিলারগুলোতে দেখা দিয়েছে ফাটল। গণপূর্ত অধিদপ্তর ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও সেখানে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।
রোগীরা জানালেন, যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও বাধ্য হয়েই চিকিৎসা নিতে আসছেন তারা।
১৯৬১ সালে স্থাপিত হয় জামালপুরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এর বহির্বিভাগের ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় ২০২১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এখনও এই ভবনেই চালিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম। বহির্বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে রয়েছে টিকেট কাউন্টার, রক্ত সঞ্চালন কেন্দ্র ও হাপাতালের সকল পরীক্ষাগার। জামালপুর ছাড়াও কুরিগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুর, শেরপুর সদর ও টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি-মধুপুরের অসংখ্য রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসে এ হাসপাতালটিতে।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ্য না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও অনেক রোগী বাধ্য হয়ে এখানে আসেন। হাসপাতালের চিকিৎসক জানালেন, রোগীদের কথা ভেবেই ঝুঁকিপূর্ন ভবনটিতে সেবা দিচ্ছেন তারা।
বহির্বিভাগ ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে জানিয়েও কোন সুফল মেলেনি বলে জানালেন হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান।
বহির্বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে একটি ৬ তলা ভবন নির্মাণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানান জামালপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন।
দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত ভবন পুন:ণির্মানের দাবি চিকিৎসক ও সেবা গ্রহীতাদের।
lamia/Bodiar