এমাসেই শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০১-১০-২০২৩ ১৪:২২

আপডেট: ০১-১০-২০২৩ ১৯:২০

রীতা নাহার : ঢাকা বিমানবন্দরের দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। ভবনের ভেতরে বাইরে সব ধরনের অবকাঠামো সুবিধা দৃশ্যমান এখন। সংশ্লিষ্টরা আধা করছেন, স্বয়ংক্রিয় ও উন্নত যাত্রী সেবার পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এই তৃতীয় টার্মিনাল। এটি চালু হলে এভিয়েশন খাতের হাব হয়ে উঠবে বাংলাদেশ- জানিয়েছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

স্বপ্ন এখন সত্যি। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল হতে চলেছে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রবেশেদ্বার। নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীর এই টার্মিনালের প্রবেশ পথেই তৈরি হয়েছে পদ্মফুলের নকশায় বহুতল কার পার্কিং। একহাজারেরও বেশি গাড়ি রাখা যাবে এখানে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি প্রান্ত এসে মিলেছে টার্মিনাল ভবনে। যাত্রীদের গাড়ি এ পথে সরাসারি চলে যাবে টার্মিনাল ভবনের দোতলায়। এখান থেকেই ঢুকবে বহিগর্মন টার্মিনালে। 

ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য শৈলী। জাতীয় ফুল শাপলার ভেতরের অংশের আদলে করা নকশায় সেজেছে সুদৃশ্য পিলার ও ছাদ। সিঙ্গাপুরের স্থপতি রোহানি বাহারিনের নান্দনিক স্থাপত্যে নির্মিত ভবনের নকশার মূল ভাবনায়- বাংলাদেশ ও বৈচিত্র্যমন্ডিত ষড়ঋতু। 

ভেতরে প্রবেশ পথে বসানো হচ্ছে আর্চওয়ে। একটু এগিয়ে চেকইন কাউন্টার। বর্হিগমনের ১১৫টি ও আগমনীর ৫৯টি চেকইন কাউন্টার তৈরি হচ্ছে। কাঁচঘেরা এই এলাকাটি ইমিগ্রেশনের। ৬৬টি কাউন্টার থাকবে ইমিগ্রেশনে। লিফট, এসকেলিটর কিংবা চলন্ত হাঁটাপথ স্বস্তি দেবে যাত্রীদের। তৈরি হচ্ছে ১৬টি লাগেজ বেল্ট। চেক ইন, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস্ এলাকা পার হয়ে যাত্রীরা পৌঁছে যাবে বোর্ডিং ব্রিজে। তৈরি হচ্ছে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ। পরবর্তীতে তৈরি হবে আরো ১৪টি। এ কর্মযজ্ঞের পাশাপাশি চলছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ তৈরির কাজ। 

টার্মিনালের পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে বিশাল এলাকা জুড়ে চলছে উড়োজাহাজ পার্কিং এলাকা তৈরির কাজ। তৈরি হয়েছে নতুন ট্যাক্সিওয়ে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলছে, তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বিমানবন্দরের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা বছরে ৮০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটি হবে এবং কার্গো ধারণ ক্ষমতা দুই লাখ টন থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ টন হবে।

জাপানি সংস্থার তত্ত্বাবধানে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সিদ্ধান্ত হলেও তা কোন প্রক্রিয়ায় কিভাবে হবে তার প্রস্তাবনা তৈরি হচ্ছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করবে তা নির্ধারণ করবে জাপানী সংস্থা।  

 

KNR/shimul