নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদনে ‘না’ বলে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে স্থায়ী মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার সুযোগ আইনগতভাবে সরকারের হাতে নেই। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আইনমন্ত্রীর এমন ব্যাখ্যার সমালোচনা করে বলেছেন, সরকার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে দেখছে।
সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত ও সাময়িক মুক্তি পাওয়া বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ৫২ দিন ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে দেশের বাইরে নিতে চায় পরিবার। এজন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আবেদন করেন তার ভাই।
রোববার আবেদনটির বিষয়ে আইনি মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। পরে এ নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জানান, যে আইনে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়েছে, সেটা বাতিল না করা পর্যন্ত তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই।
তবে আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়া সরকারের প্রতিহিংসার শিকার।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য বাসায় থাকতে ও দেশেই চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত ও মুক্তির মেয়াদ ৮ দফা বাড়িয়েছে সরকার।
KNR/shimul