নিজস্ব প্রতিবেদক: মরণঘাতী ক্যান্সার রোগীদের মানসিক সহায়তা দেওয়ার জন্য রেনাটা লিমিটেড একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সাইকোলজিকাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ক্লিনিকের (PHWC) সহযোগিতায় শুক্রবার মিরপুরের রেনাটা কার্যালয়ে ৪৫টি পরিবারের ক্যান্সার রোগী নিয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়। আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালের মেডিক্যাল অনকোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. আবুল আহসান দিদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ক্যান্সার একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম একটি উদ্বেগের বিষয়। এই রোগ শুধু শারীরিক অসুস্থতাই নয়, বরং প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণারও ব্যাপার। এই রোগে শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক সহযোগিতারও দরকার হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় যে রোগী পাশাপাশি মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহাযোগিতা নিচ্ছে তার ক্ষেত্রে ঔষধ বেশি কাজ করছে। সে দ্রুত সুস্থ হচ্ছে।
আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালের মেডিক্যাল অনকোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. আবুল আহসান দিদার বলেন, কারও ক্যান্সার হলে তিনি প্রথমেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশে সেই পরিবারটিই মানসিকভাবে দুশ্চিন্তায় পড়ে।
তিনি বলেন, এমন রোগে আমাদেরকে প্রথমেই মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। রোগীকে এমন কোনো কথা বলা যাবে না যাতে রোগী মানসিকভাবে আরও ভেঙে পরে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ক্যান্সারের একই রকম চিকিৎসা করা হয়। তাই রোগী ও রোগীর পরিবারকে ভয় না পেয়ে উচিত সবাই মিলে এই রোগকে মোকাবিলা করা। ওষুধের পাশাপাশি মানসিকভাবে সহযোগিতা পেলে ক্যান্সার রোগীর দ্রুত উন্নতি সম্ভব। মানুষ হিসেবে মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের ভালো করা, ভালো পরামর্শ দেওয়া।
সেমিনারে সাইকোলজিকাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ক্লিনিকের (PHWC) সিনিয়র মনোরোগ কাউন্সিলর শাহিনা আক্তার ক্যান্সার রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি সেখানে উপস্থিত রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। যেকোনো রোগে, বিশেষ করে ক্যান্সারের মতো রোগে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
sanjida/shimul