ফেনী সংবাদদাতা: চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বছরের পর বছর দায়িত্ব পালন করছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন একই অফিসে থাকায় অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন তারা। এলজিইডির এক কর্মকর্তা ২০ বছর ধরে অফিসে থাকায় অনিয়ম দুর্নীতি ও ক্ষমতার বলয় গড়ে তুলেছেন। মানুষ বিভিন্ন কাজে গিয়ে তাদের কাছে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
মিজানুর রহমান, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মচারী। নকশাকার থেকে হয়েছেন উপসহকারী প্রকৌশলী। ঘুরে ফিরে ২০ বছর ধরে একই অফিসে কর্মরত।
দীর্ঘদিন একই অফিসে কর্মরত থাকায় ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তার ও ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা কোন কাজে গেলে হয়রানির শিকার হন।
কিছু ঠিকাদারের সাথে সিন্ডিকেট করে কাজ করার অভিযোগও আছে এই মিজানের বিরুদ্ধে। ঘুষ না দেয়ায় মিজানের আক্রোশের শিকার হয়েছেন স্থানীয় এক উদ্যোক্তা। তার অভিযোগ- শিশুদের জন্য একটি প্লেজোন করতে উপজেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেয়ার নামে হয়রানি অনৈতিক সুবিধা দাবি করেন। পরে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ত্র“টি আছে এমন অজুহাতে তার স্থাপনা ভেঙ্গে দেন। এনিয়ে হাইকোর্টে মামলাও রিট মামলা করেছেন ভুক্তভোগী উদ্যোক্তা।
সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও অনেক সময় তার কাছে অসহায়। এসব অভিযোগের বিষয়ে মিজানুর রহমানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলেননি, উল্টো সাংবাদিকের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। বলেন, কেন তাকে এক অফিসে রেখেছে তা এমপি সাহেবকে জিজ্ঞেস করেন।
মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রামে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর বক্তব্য জানতে তার অফিসে গেলে তিনিও এড়িয়ে যান।
এলজিইডি’র মত শিক্ষা অফিস, পিআইও অফিসসহ আরও কিছু সরকারি অফিসে কিছু কর্মকর্তা বছরের পর বছর দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী এক কর্মস্থলে একজন টানা ৩ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারে। কিন্তু অদৃশ্য কোনো খুঁটির জোরে মিজানুর রহমানসহ মিরসরাইয়ে সরকারি অফিসে কিছু কর্মকর্তা বছরের পর বছর বহাল থাকছে। এটা সুশাসনের অন্তরায় মনে করেন স্থানীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।
তারা বলেন, এক ব্যক্তি একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকলে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়। বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে উর্ধতন সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিধিদের প্রতি আহবান জানান তারা।
Laiza/sat