নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ বাংলা বর্ণ পরিচয়ের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। ১৮২০ সালের আজকের দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি শুধু বাংলা ভাষা সাহিত্যেই নয়, দ্যুতি ছড়িয়েছেন একাধারে বেদান্ত শাস্ত্র, তর্ক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানসহ নন্দনতাত্ত্বিক সমাজ গঠনেও। গুণী এই ব্যক্তিত্বের আজ ২০৩তম জন্মদিবস।
১৮২০ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর কলকাতার মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে তার জন্ম। তবে দরিদ্রতা তার শিক্ষালাভের আগ্রহকে কেড়ে নিতে পারেনি। শিক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকায় রাতে ঘরে আলো জ্বালানোর মতো সামর্থ্য না থাকলেও রাস্তায় লাইটের নিচে বসেই পড়ালেখা চালিয়েছেন তিনি।
১৮৩৯ সালে বাংলা, সংস্কৃতি ও ইংরেজি ভাষায় অগাধ পান্ডিত্যের জন্য সংস্কৃতি কলেজ থেকে তাকে দেয়া হয় সম্মানজনক 'বিদ্যাসাগর' উপাধি।
অন্যদিকে বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রী শিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তার অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরণ হয় শ্রদ্ধার সঙ্গে। হোমিওপ্যাথি শাস্ত্রেও পান্ডিত্য ছিল এই নিরহংকার ব্যক্তিটির। অবদান রেখেছেন বাংলা লিপি সংস্কারেরও। পাশাপাশি তিনি ছিলেন বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক ও প্রাবন্ধিক।
বাঙালি সমাজে প্রগতিশীল সংস্কারের অগ্রদূত এই মহান সংস্কারকের জীবনাবসান ঘটেছিল ১৮৯১ সালে। তবে মৃত্যুর শত বছর পারেও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ঈশ্বরচন্দ্র স্মরণীয় হয়ে আছেন তার কাজের মাধ্যমেই।
Rehana/Bodiar