খুলনার অধিকাংশ স্লুইস গেট অকার্যকর

প্রকাশিত: ২৫-০৯-২০২৩ ০৮:২১

আপডেট: ২৫-০৯-২০২৩ ০৯:৩৭

খুলনা সংবাদদাতা: খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকার লোকালয় ও বিলে নোনা পানির প্রকোপ ঠেকাতে তৈরি করা বাঁধের অধিকাংশ স্লুইস গেটের মুখ পলিমাটি জমে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার হুমকিতে রয়েছে বিভিন্ন এলাকা। স্লুইস গেটগুলোর মুখ বন্ধ থাকায় লোকালয় ও বিল এলাকার পানি বাইরে বের হতে পারছে না। দিন দিন জলাবদ্ধ এলাকার পরিমাণ বাড়ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্লুইস গেটগুলো দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ার কারণেও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। 

খুলনা বিভাগের দশ জেলায় পশুর, ভদ্রা, হামকূড়া, হরি. শ্রীহরি, বুড়িভদ্রা, শাকবাড়িয়া, কপোতাক্ষ, গড়াই, মুক্তেশ^রীসহ প্রায় ৫০টির মত নদ-নদী রয়েছে। এসবের শাখা প্রশাখা রয়েছে তিন শতাধিক। নদীর নোনাপানি জনবসতি ও বিল এলাকায় যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ৬০ এর দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে এইসব নদ-নদীর পাড় ঘিরে উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ করা হয়। আর এসব বাঁধের সাথে সংযুক্ত নদ-নদী ও খালের মুখে পানি সরানো ও প্রবেশের জন্য দেয়া হয় স্লুইস গেট। 

তবে, এর পর থেকে ধীরে ধীরে জোয়ারের পানিতে আসা পলি মাটিতে এসব স্লুইস গেটের মুখ ভরাট হয়ে গেছে। এতে বিলের পানি বাইরে বের হতে না পারায় পানি নিষ্কাশনও হচ্ছে না। ফলে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা নিয়মিত ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সাময়িকভাবে স্লুইস গেটের মুখে জমে থাকা পলি মাটি অপসারণের কাজ চলছে। তবে স্থায়ী সমাধান করতে সময় লাগবে।

পানি নিস্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ও নদীতে পলি জমতে থাকায় অস্তিত্ব নিয়ে হুমকির মুখে অনেক নদ-নদী। যদিও নদী রক্ষায় সার্বক্ষণিক তদারকি রয়েছে বলে জানালেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধূরী।

নদী রক্ষা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে নদীর পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা না গেলে এসব অঞ্চলের মানুষের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ কমবে না বলে জানালেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ।

পানি প্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকার বাসিন্দারা।

 

lamia/Bodiar