বিউটি সমাদ্দার: প্রকৃতিতে এখন চলছে শরতের সৌন্দর্যময় আবাহন। বর্ষার অবিশ্রান্ত ধারার পর এই ঋতুতে স্বচ্ছ নীল আকাশ, শিউলি ফোঁটা ভোর আর কাশফুলের শুভ্রতায় বাংলার প্রকৃতি হয়ে উঠে অপরূপ। যদিও শরতেও চলে মেঘ বৃষ্টির লুকোচুরি। তারপরও প্রকৃতির এই মোহনীয়তা মানব মনে দোলা দিয়ে যায়। তাই প্রকৃতিকে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
একটু মেঘ, এক পশলা বৃষ্টি, এক ঝলক হাওয়া পরক্ষণেই সোনালি রোদ্দুর, কচি ধানের ডগায় রোদের ঝিকিমিকি, আকাশে জুড়ে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ভেলা, আবারো হয়তো খন্ড মেঘে ছেয়ে গেলো আকাশ। এমনিভাবেই মেঘ আর রোদের খেলা খেলে বাংলার প্রকৃতিতে শরৎ আসে চপল ছন্দে, মাধুর্য নিয়ে।
বর্ষার অবিরাম গুরুগুরু গর্জন থেমে শরৎ প্রকৃতিকে সাজায় স্নিগ্ধ মোহনীয়তায়। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, শরৎ ছাড়া আর কে ভাসাতে পারে। গাঢ় নীলিমার অবারিত বিস্তার, তারই মাঝে ধবধবে সাদা মেঘের ভেলা দৃষ্টিজুড়ে স্নিগ্ধতার পরশ বুলিয়ে দেয়।
শারদ প্রাতে বাতাসে ভেসে আসে নরম কমল কাশফুলের মৃদুমন্দ ছন্দ। নীল আকাশের নিচে কাশফুল যখন দোল খায় তখন মনে হয় শ্বেত বসনা একঝাঁক নৃত্যশিল্পী ছন্দ তুলে যাচ্ছে। প্রকৃতির এই ফুল নদীর ধারে অথবা বালুকাবেলায় শুধুই স্নিগ্ধতা ছড়ায়। আর প্রকৃতির এই অপরূপ মোহনীয়তায় দূরন্তপনায় মেতে উঠে মন।
শুধু কাশ নয় শরতে আরএক রূপ মাধুর্য ঝিলের জলে নক্ষত্রের মতো ফুলে থাকা বাহারি শাপলা আর পদ্ম। সবুজের মাঝে রক্তিম আভা ছড়িয়ে হাতছানি দেবে একটু জিরিয়ে নেয়ার। এছাড়াও কদম, কেয়া, কামিনী আর শিউলীর গন্ধে প্রকৃতি সেজে উঠে অন্য অভায়
এই ঋতুতেই গ্রাম বাংলা পেয়ে যায় স্নিগ্ধতার বরতা। প্রান্তরজুরে আমনের মাঠে মাঠে শিশিরসিক্ত সবুজের স্বচ্ছ সামিয়ানা। নীড় ছেড়ে পাখিরা বেরিয়ে পরে আকাশ কাননে। তাদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠে চারপাশ। শান্ত নদীর জলে ছবির মতো আঁকা নৌকায় বাড়ে মাঝির ব্যস্ততা । মাছরাঙ্গা ধ্যান করে বসে থাকে খাবারের খোঁজে। সবই যেন শরতের মোহময়তা।
শরতের প্রকৃতিতে কেবলই উদাস করা হাতছানি। ঘর ছেড়ে তেপান্তরে বেরিয়ে পড়ার আমন্ত্রণ। একে এড়িয়ে যায় সাধ্য কার...
BRS/shimul