জাতিসংঘের অধিবেশনে এবারও প্রাধান্য পেয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

প্রকাশিত: ২০-০৯-২০২৩ ১৫:৩৩

আপডেট: ২০-০৯-২০২৩ ১৫:৩৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এবারও প্রাধান্য পেয়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। প্রথম দিনের আলোচনায় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ও পরিণতি নিয়ে কথা বলেছেন বিশ্বনেতারা। এসময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং দ্রুত যুদ্ধের অবসান ঘটাতে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান। রাশিয়া ইউক্রেন ছাড়াও আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও জলবায়ু সংকট নিয়েও।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চলছে সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ছিলো জাতিসংঘের বার্ষিক এই আয়োজনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিন। উদ্বোধনী দিনে বক্তব্য রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ইউক্রেন, তুরস্ক, জার্মানি ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা। দুইদিনের এ আলোচনায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু সংকটের পাশাপাশি প্রাধান্য পাচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।

রাশিয়ার হামলা বিশ্বকে চূড়ান্ত যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দেশটিতে রুশ বাহিনী যুদ্ধাপরাধ চালাচ্ছে জানিয়ে তাদের ঠেকাতে আরও সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। এ যুদ্ধের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়াকে দায়ী করেন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধকে পশ্চিমা মদদপুষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। 

একুশ শতকে এসে এ ধরণের যুদ্ধ মেনে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। আর তাই বহুমুখী বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের আরও সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর।

এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বিশ্বকে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান আলোচনা আরও বেগবান করতে তুরস্ত কাজ করছে বলেও জানান তিনি। 

অন্যদিকে, নতুন যুগের সূচনা করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সেইসাথে মানব পাচার, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ সুরক্ষা, ভবিষ্যত মহামারীর জন্য প্রস্তুতি, এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

 

shamima/Bodiar