ক্রীড়া ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল।
আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে দুর্নীতিবিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে এ অভিযোগ গঠন করেছে তারা। ২০২১ সালের টুর্নামেন্টে ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানে সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার নিয়েছেন নাসির ইসিবি এমন অভিযোগ এনেছে।
নাসির ছাড়াও আরও সাতজনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে এ অভিযোগ। তারা হলেন- কৃষাণ কুমার চৌধুরী, পরাগ সাংভি, আজহার জাইদি (ব্যাটিং কোচ), সানি দিলন (সহকারী কোচ), শাদাব আহমেদ (টিম ম্যানেজার), আরব আমিরাতের স্থানীয় ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান।
এই আট অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জনকে (কৃষাণ কুমার চৌধুরী, পরাগ সাংভি, আজহার জাইদি, রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান এবং সানি দিলন) প্রাথমিকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে যে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথমটি হলো- আর্টিকেল ২.৪.৩-এ বলা হয়েছে, ৭৫০ ডলার মূল্যের উপহার সম্পর্কে আইসিসির অফিসিয়ালের (ডাকো) কাছে তথ্য দিতে না পারার ব্যর্থতা।
দ্বিতীয় অভিযোগ হচ্ছে- নিয়ম অনুযায়ী ডাকো’র কাছে যে কোনো ধরনের দুর্নীতির প্রস্তাব, এ সম্পর্কে কারও চেষ্টা সম্পর্কিত তথ্য না দিতে পারার ব্যর্থতা।
তৃতীয় অভিযোগ হচ্ছে- অভিযোগ অস্বীকার, আইসিসি কর্তৃক পরিচালিত তদন্তে কোনো সহযোগিতা না করা।
বাকি সবার মধ্যে যে ছয়জনকে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে- তাদের সবার বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মালিক এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অভিযোগ হলো, তারা কিছু কিছু ক্রিকেটারকেও ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দিয়েছিলো।
rocky/Bodiar