আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সমুদ্র দিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ পানাম খালে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং দীর্ঘ খরার কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পানি কমে যাওয়ায় পানামা খালের দু’ধারে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে অপেক্ষমাণ জাহাজের ভিড়। এই জলপথ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ দিয়েও খুব একটা লাভ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই সমস্যা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
এশিয়া থেকে আমেরিকা পর্যন্ত পণ্য আমদানি-রফতানির অন্যতম প্রধান জলপথ পানামা খাল। যুগ যুগ ধরে এই জলপথ দিয়েই দুই মহাদেশের মধ্যে পণ্য বিনিময় হচ্ছে। কিন্তু সেই পানামা খালই পড়েছে খরার কবলে।
বিশ্ববাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত এই খালে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং দীর্ঘ খরার কারণেএমনটি ঘটছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পানামার পানি সরবরাহের অন্যতম উৎস গাতুন হ্রদের পানির স্তর গত সাত বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাওয়ায় কমে গেছে পানামার জলস্তরও।
এসব কারণে পানামা খালে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে অপেক্ষমাণ জাহাজের ভিড়। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গড়ে প্রায় চার দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে জাহাজগুলোকে। এমনকি, অনেক জাহাজকে ২০ দিনেরও বেশি অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
পানামা খাল কর্তৃপক্ষ-এসিপি জানিয়েছে, খালটি সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ দেয়ার পরও কোনও লাভ হচ্ছে না। তবে, খুব শিগগিরই এই সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা তাদের।
পানাম খালে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এই পথ ব্যবহারকারী জাহাজগুলো এখন কম পরিমাণে পণ্য পরিবহণ করছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যদি জল স্তর এভাবে কমতে থাকে, তা হলে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের মূল্যও বাড়তে পারে সে দেশে।
বিগত ৭০ বছরের মধ্যে এত বিপজ্জনক খরার মুখে পড়তে হয়নি পানামা খালকে।
AAJ/prabir