ফাহিম মোনায়েম: মানুষের দুর্ভোগের আরেক নাম রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল। রাস্তার দুই পাশে দুই তিন সারি করে বিভিন্ন কোম্পানির বাস রাখা। পুরো সড়কই টার্মিনাল আর পার্কিং বানিয়ে ফেলেছে বাস মালিক-শ্রমিকরা। ছুটির দিন কিংবা রাতে এই সড়কে যানবাহন চলাচল আরও কঠিন। তীব্র যানজটেদুর্ভোগে পড়েন মানুষ।
সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখার এই চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা সড়ক নাকি বাস টার্মিনাল। মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালেরসামনের সড়কের দুই পাশে বাস রাখার এই দৃশ্য দেখা যায় রাতদিন সব সময়।
রাস্তার উপর দুই তিন লাইন করে গাড়ী রাখায় একটি গাড়ী চলাচলেরও উপায় থাকে না। এতে সড়কে যানজটেদুর্ভোগে পোহাতে হয় মানুষকে। যানজট কমাতে রাস্তা বড় করে করা হয় ইউলুপ। কিন্তু তার পরেও যানজট কমছেনা।
মহাখালী বাস টার্মিনালেআড়াইশ’র মতো বাস রাখা যায়। কিন্তু মালিক সমিতির হিসাবে ২০ রুটে প্রায় এক হাজার বাস চলাচল করে এই টার্মিনাল থেকে। ধারণক্ষমতা না থাকায় টার্মিনালের সামনে শহীদ তাজউদ্দিন সড়ক ও আশপাশের গলিতেও শত শত বাস রাখা হয়।
পরিবহন বিশেষজ্ঞএম হাদিউজ্জামান বলছেন, মহাখালী বাস টার্মিনালে দিন দিন বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। চাহিদা অনুযায়ীআধুনিক ও পরিকল্পিত টার্মিনালনির্মাণ করতে হবে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে দক্ষতার সাথে।
উত্তরাঞ্চল ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ২০টি জেলায় এই টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল করছে।
FM/prabir