কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক ডিলারের কাছে খালি চেক জমা রেখে বাকীতে পোলট্রি খাদ্য ও ওষুধ কিনে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অভিযোগ উঠেছে এসব চেক দিয়ে খামার মালিকদের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা পাওনা দেখিয়ে মামলা করেছেন, ওই ডিলার।
এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনও করেছে ভুক্তভোগী খামারিরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পোলট্রি ডিলার।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বাহাদিয়া বাজারের কোয়ালিটি ফিশ ফিড লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের ডিলার আসাদুজ্জামান। তার কাছে স্বাক্ষর করা খালি ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্প জমা রেখে বাকীতে পোলট্রি খাদ্য কিনতেন আঙ্গিয়াদী গ্রামের পোলট্রি খামারি দ্বীন ইসলাম। এক পর্যায়ে তার সাথে লেনদেন বন্ধ করে দেন ডিলার আসাদুজ্জামান। পরে গত ৬ই আগস্ট দ্বীন ইসলামের নামে ২ কোটি ৫০ লাখ ও তার স্ত্রী সোমা আক্তারের নামে দেড় কোটি টাকা পাওনা আদায়ের দাবিতে মামলা দায়েরের জন্য উকিল নোটিশ পাঠান আসাদুজ্জামান।
তার মতো আরও অনেক খামারি আসাদুজ্জামানের মিথ্যা মামলায় ও হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খামারিদের অভিযোগ, বিশ্বাস ভঙ্গ করে ওই ব্যবসায়ী খালি চেকে ইচ্ছামতো টাকার অংক বসিয়ে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী খামারিরা।
বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, অভিযুক্ত ডিলার আসাদুজ্জামান।
উপজেলার অন্তত ৫০ জন খামারির নামে প্রায় ১০ কোটি টাকার চেক ডিসঅনার মামলা করা হয়েছে বলে জানান, পোলট্রি খামার মালিকরা।
AR/prabir