আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন। রোববার সৌদি আরবে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে শান্তিনিকেতনকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থাটি। এদিন শান্তিনিকেতনসহ মোট ১৫টি সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে ইউনেস্কো।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরে অবস্থিত একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র শান্তিনিকেতন। ১৮৬৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা জমিদার দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঈশ্বরচিন্তা ও ধর্মালোচনার উদ্দেশ্যে বোলপুর শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় চার দশক পরে সেখানে শিশুদের জন্য একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কালক্রমে যা বিশ্বভারতী বিশ্বদ্যিালয়ে রুপ নেয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের সাথে জড়িত এ স্থানটি শিক্ষা, সংস্কৃতি আর মানবতার ধারক হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে স্থাপিত হলেও ইউরোপিয় আধুনিকতা থেকে ভিন্ন স্থাপত্য শৈলী এবং এর সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য শান্তিনিকেতনকে এবছর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে ইউনেস্কো।
রোববার সৌদি আরবের রিয়াদে এক বৈঠক শেষে এবছরের বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা প্রকাশ করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা, ইউনেস্কো। মোট ১৩টি সাংস্কৃতিক ও দু’টি প্রাকৃতিক নির্দশন স্থান পেয়েছে এ তালিকায়। এরমধ্যে রয়েছে মধ্য এশিয়ার ঐতিহাসিক স্থল বাণিজ্য পথ সিল্করোড, লাটভিয়ার কুলদিগা পুরনো শহর, চীনের জিংমাই পর্বতের পুরনো চা বাগানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক নিদর্শন।
এ বছর প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে তালিকাভুক্ত স্থান দু’টি হলো কঙ্গোর ওডজালা- কোকাউয়ার পার্বত্য বনভূমি ও ফ্রান্সের মাউন্ট পেলের আগ্নেয়গিরি ও বনাঞ্চল।
shamima/Bodiar