আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার উপকূলীয় অঞ্চলে হারিকেন লি আঘাত হানার পর দেশ দু’টির উপকূলীয় এলাকায় বন্যা হয়েছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে দুই দেশের আড়াই লাখেরও বেশি বাসিন্দা। ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে দেশটির মেইন অঙ্গরাজ্যে একজনের প্রাণহানি হয়েছে। এদিকে, কানাডার নোভা স্কটিয়া প্রদেশের ‘হ্যালিফ্যাক্স স্ট্যানফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে সৃষ্ট বন্যার কারণে লিবিয়ার দেরনায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিখোঁজ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ডের উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয় সময় শনিবার আঘাত হেনেছে হারিকেন ‘লি’। বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার। এসময় ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে উপকূলীয় এলাকায় বন্যা হয়েছে। সড়ক প্লাবিত হয়ে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ। এখনও বিদুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেইন অঙ্গরাজ্য। সেখানে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
একইদিনে কানাডার পূর্বাঞ্চলে উপকূলীয় অংশে তান্ডব চালিয়েছে হারিকেন লি। এর প্রভাবে নোভা স্কটিয়া প্রদেশের দুই লাখেরও বেশি বাসিন্দা বিদ্যুবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাতিল করা হয়েছে প্রদেশটির বৃহত্তম বিমানবন্দর হ্যালিফ্যাক্স স্ট্যানফিল্ড ইন্টারন্যাশনালের সমস্ত ফ্লাইট। একইসাথে হারিকেনটি দেশটির নিউ ব্রান্সউইক প্রদেশেও আঘাত হেনেছে।
এদিকে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল লিবিয়ার দেরনায় আঘাত হানার এক সপ্তাহ পরও মৃতের সন্ধান মিলছে। এখনও নিখোঁজ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঝড়ের কারণে উত্তর-পূর্ব লিবিয়া জুড়ে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
অন্যদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ভারতের মধ্যপ্রদেশে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ইন্দোর শহরের বেশ কিছু অংশ। শহরটির নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে আটকা পড়েছেন বাসিন্দারা। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি হবে বলে সতর্ক করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
hasna/shimul