শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত: ১৫-০৯-২০২৩ ১২:৩৮

আপডেট: ১৫-০৯-২০২৩ ১২:৩৮

বিনোদন ডেস্ক: বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সমকালীন সময়ে তিনি তুলে ধরছেন ব্রাহ্মণ ও জমিদার সমাজের বাংলার মানুষের অবস্থা। তখনকার সময়ে সাধারণ মানুষের গল্পের নায়ক ছিলেন তিনি। আজ তাঁর জন্মদিন। 

এই ঔপন্যাসিক ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে গ্রামে দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিক পর্যায়ে দেবানন্দপুরের হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুল ও ভাগলপুরের দুর্গাচরণ এম ই স্কুলে পড়াশোনা করেন। তারপর টিএন জুবিলি কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স (১৮৯৪) পাশের পর একই কলেজে এফএ শ্রেণিতে ভর্তি হন। 

কিন্তু পারিবারিক আর্থিক অবস্থার কারণে তাঁর শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর তিনি বনেলি স্টেটে সেটেলমেন্ট অফিসারের সহকারি হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের অনুবাদক এবং বার্মা রেলওয়ের হিসাব দপ্তরের কেরানি পদে চাকরি শুরু করেন। তিনি ১৯২১ সালে কংগ্রেসের অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন এবং হাওড়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।

শরৎচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস বড়দিদি (১৯০৭) সালে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাস প্রকাশ হওয়ার পর সাহিত্য জগতে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তিনি একে একে বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য (১৯১৪), পরিণীতা (১৯১৪), বৈকুণ্ঠের উইল (১৯১৬), পল­ীসমাজ (১৯১৬), দেবদাস (১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), নিষ্কৃতি (১৯১৭), শ্রীকান্ত (৪ খÐ, ১৯১৭-৩৩), দত্তা (১৯১৮), গৃহদাহ (১৯২০), দেনা-পাওনা (১৯২৩), পথের দাবী (১৯২৬), শেষ প্রশ্ন (১৯৩১) ইত্যাদি গল্প-উপন্যাস রচনা করেন। 

বাংলাসহ ভারতীয় বিভিন্ন ভাষায় এই সাহিত্যেকের অসংখ্য উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। এর মধ্যে দেবদাস, শ্রীকান্ত, রামের সুমতি, দেনা-পাওনা, বিরাজবৌ ইত্যাদি। সাহিত্যকর্মে অসাধারণ অবদানের জন্য শরৎচন্দ্র কুন্তলীন পুরস্কার (১৯০৩), জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯২৩), বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্যপদ (১৯৩৪) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট উপাধি (১৯৩৬) লাভ করেন। ১৯৩৮ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতায় তিনি মারা যান।

 

 

AR/shimul