নিজস্ব প্রতিবেদক: চিরবিদায় নিলেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় অচেতন অবস্থায় রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৪ বছর।
দীর্ঘদিন স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন সোহানুর রহমান সোহান। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ এর মতো জনপ্রিয় অনেক চলচ্চিত্রের নির্মাতা তিনি। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
হয়তো সামলে উঠতে পারেননি জীবনসঙ্গীকে হারানোর শোক। তাই নিজেও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। স্ত্রী প্রিয়া রহমানের মৃত্যুর পরদিনই চিরবিদায় নিলেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।
নায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুবার্ষিকী নিয়ে বৈশাখী টেলিভিশনকে গত পহেলা সেপ্টেম্বর সাক্ষাতকার দেয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন শরীরটা ভাল যাচ্ছিলো না তাঁর। দেশে কয়েক দফা চিকিৎসক দেখিয়েছিলেন সোহানুর রহমান সোহান। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দেশের বাইরেও চিকিৎসা করানোর। এজন্য আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর জাপান যাওয়ার কথা ছিল।
তবে সেটা আর হলো না। বুধবার বিকেলে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। দুপুরে তিনি ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদ তার সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে অচেতন অবস্থায় নিয়ে যান রাজধানীর ক্রিসেন্ট হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোহানুর রহমান সোহানের কর্মজীবন শুরু হয় আরেক স্বনামধন্য পরিচালক শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে। তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’। এ নির্মাতার হাত ধরেই রূপালী পর্দার ভুবনে এসেছিলেন সালমান শাহ, মৌসুমী ও পপির মতো তারকারা। শাকিব খানের মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবির পরিচালকও তিনি।
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘স্বজন’, ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘অনন্ত ভালবাসা’- এমন অনেক দর্শকনন্দিত সিনেমার পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। সবমিলিয়ে নির্মাণ করেছেন ২৫টি চলচ্চিত্র। যার সিংহভাগই ব্যবসা সফল। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তিনটি চলচ্চিত্র।
ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের অন্যতম সংগঠক। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব ও সভাপতি হিসেবে বেশ কয়েক দফা দায়িত্ব পালন করেছেন।
এমন নির্মাতার বিদায় চলচ্চিত্রাঙ্গনে বড় শুন্যতা তৈরি করে। তবে তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রের মাঝে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকবেন সোহানুর রহমান সোহান।
FM/Bodiar