ফাহিম মোনায়েম: দেশে মোট ভোক্তার অর্ধেকের বেশি বাস করেন গ্রামীণ অঞ্চলে। কিন্তু জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম মূলত বিভাগীয় শহর কেন্দ্রিক। জেলা পর্যায়ে অধিদপ্তরের কার্যক্রম সীমিত। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্যক্রম নেই বললেই চলে। দেশের ১৭ কোটি ভোক্তার স্বার্থ দেখার দায়িত্ব পওয়া সংস্থাটির জনবল মহাপরিচালকসহ মাত্র ৯৬ জন। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, জনবলসংকটের কারণে সেবার পরিসর বাড়াতে পারছেন না তাঁরা।
অসাধু ব্যবসায়ীদের অনৈতিক মুনাফার কারণে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হলে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে কিছু সুফলও মেলে। কিন্তু লোকবলের অভাবে নিয়মিত দেশব্যাপী বাজার তদারকি করতে পারেনা সরকারের এই সংস্থা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আধা-বিচারিক সরকারি সংস্থা যা পণ্য ও পরিষেবার উপর ভোক্তাদের অভিযোগ গ্রহণ ও তা নিষ্পত্তি এবং ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের কাজ করে থাকে। তাদের কাজের পরিধি ব্যাপক, তবে সেই তুলনায় নেই জনবল ও সুযোগ সুবিধা। ফলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না প্রতিষ্ঠাটি। এছাড়া অপরাধীদের শাস্তি দিতে এই সংস্থার বিচারিক ক্ষমতাও নেই।
ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠান কাঠামোয় ৩৬৬জন জনবল থাকার কথা। নিয়োগ হয়েছিল ২০৬ জন। তবে বর্তমানে মহাপরিচালকসহ ৯৬ জন কর্মরত। সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করতে পারে মাত্র ৭৬ জন কর্মকর্তা।
অপরাধী শনাক্ত করার প্রযুক্তি না থাকায় সব অভিযোগের নিস্পত্তি করা অধিদপ্তরের পক্ষে সম্ভব হয় না। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, নিয়মিত বাজার তদারকি ও ভোক্তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে অধিদপ্তর পণ্যে ভেজাল নির্ণয়, বিজ্ঞাপন ও সেবা খাত নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায় না।
দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে সেবা দেয়ার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে সক্ষম করে গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।
FM/Bodiar