আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মরক্কোতে ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভয়াবহ ভূামকম্পের ২ দিন পেরিয়ে গেলেও আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ চলছে। তবে সময় যতই যাচ্ছে জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই কমছে। এরইমধ্যে ২ হাজার ১২২ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার।আহত হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। তবেবিধ্বস্ত রাস্তাঘাট এবং দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কারণে প্রান্তিক এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি উদ্ধারকর্মীরা।
প্রতিদিনের মতোই শুক্রবার রাতেও ঘুমিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলোমরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলীয় ঐতিহাসিক পর্যটন নগরী মারাকেশ এর বাসিন্দারা। কিন্তু রাত পোহানোর আগেই তাদের ভাগ্যে কী ঘটতে চলেছে তা ছিলো সবার অজানা। ভোরের আলো না ফুটতেই শান্তির ঘুম যেনো পরিণত হয় শেষ ঘুমে।
আগের দিনেও শহরটির অলিতে-গলিতে চলছিল পর্যটকদের আনাগোনা। পাহাড় ঘেষেঁ যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল ভবনগুলো, শুক্রবার রাতের ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর তা এখন মৃত্যুপুরি।দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি মাটিতে মিশে গেছে। ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাওয়া ভবনের ধ্বংস্তুপে একের পর এক মৃতদেহ দেখেস্বজনহারার কান্নার রোলে ভারীসেখানকার পরিবেশ। কোনো পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই একরাতের মধ্যেই নাই হয়ে গেলে। জীবিতরাও জানতে পারছে না কী ঘটেছে পরিবারের বাকী সদস্যদের ভাগ্যে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মারাকেশ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের পাহাড়ি গ্রাম তাফেঘাঘতে প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। হাতে গোনা কয়েকটি ভবন এখনো দাঁড়িয়ে আছে। গ্রামটির মোট ২০০ জন বাসিন্দার মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ভারী পাথর গড়িয়ে রাস্তাঘাট আটকে যাওয়ায় এখনও বহু এলাকায় পৌঁছাতেই পারেননি উদ্ধারকারীরা। সেখানকার বাসিন্দারা নিজেই নেমেছেন পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে। এছাড়া এখনোও কত মানুষ নিখোঁজ রয়েছে তার সঠিক সংখ্যাও জানানো সম্ভব হয়নি কর্তৃপক্ষের।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় ইতোমধ্যে সাহায্য পাঠিয়েছে ব্রিটেন, স্পেন, কাতার ও সংযুক্ত আরব-আমিরাত।
afroza/Bodiar