বিনোদন ডেস্ক: আজ কিংবদন্তি এটিএম শামসুজ্জামানের জন্মদিন। ১৯৪১ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর নোয়াখালীতে জন্ম গ্রহন করেন। দু’বছর আগেই প্রয়াত হয়েছেন তিনি। মৃত্যুর পর এটি তার দ্বিতীয় জন্মদিন।
নন্দিত এই অভিনয়শিল্পীর পুরো নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। ছোট বেলায় লেখক হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও হয়ে গেলেন অভিনেতা। প্রায় ছয় দশক দাপটের সাথে অভিনয় জগতে রাজত্ব করেছেন। শতাধিক সিনেমার কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। লিখেছেন নিজের আত্মজীবনীও ‘শিল্প সংস্কৃতি ও আমার শিল্পী জীবন’।
উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন জগন্নাথ কলেজে। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে রূপালি জগতে কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয়ের শুরুটা হয় ‘নয়া জিন্দেগানি’ নামের একটি ছবির মাধ্যমে। তবে সেটি মুক্তি পায়নি।
১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘এতটুকু আশা’ সিনেমার মধ্যে দিয়ে পর্দায় অভিষেক হয়। খবরের কাগজ বিক্রেতার ভূমিকায় হাজির হন তিনি। সেই ছোট্ট চরিত্র থেকে নাটক-সিনেমার অন্যতম দাপুটে অভিনেতায় প্রতিষ্ঠিত হন গুণী এই শিল্পী।
এটিএম শামসুজ্জামান অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো- ওরা ১১ জন, লাঠিয়াল, নয়নমণি, অশিক্ষিত, গোলাপী এখন ট্রেনে, পদ্মা মেঘনা যমুনা, স্বপ্নের নায়ক, অনন্ত প্রেম, দোলনা, ম্যাডাম ফুলি, চুড়িওয়ালা, হাজার বছর ধরে, মোল্লা বাড়ির বউ, মন বসে না পড়ার টেবিলে, গেরিলা, চোরাবালি ইত্যাদি।
ধারাবাহিকে এবং একক নাটকে তার ব্যাপক বিচরন ছিল। এর মধ্যে কালজয়ী কয়েকটি নাটক হলো- রঙের মানুষ, ভবের হাট, ঘর কুটুম, নোয়াশাল, শীল বাড়ি ইত্যাদি। শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন এটিএম শামসুজ্জামান। এছাড়া বর্ণাঢ্য সিনে জীবনে ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। একই আয়োজনে পেয়েছেন আজীবন সম্মাননাও।
sanjida/shimul