নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান যুগ যুদ্ধের হবে না, গোটা বিশ্বই একটি পরিবার, এমন ধারণার ভিত্তিতে আগামীর পথ চলার লক্ষ্য নির্ধারণ করে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে দিলি ঘোষণাপত্র সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জি- টোয়েন্টি’র সভাপতি দেশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘোষণা দেন। যৌথ ঘোষণাপত্রে টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু অর্থায়ন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে একসাথে কাজ করতে একমত পোষণ করেছেন বিশ্বনেতারা। পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিকে গ্রহণযোগঅগ্রহণযোগ্য বলা হয়েছে দিলি ঘোষণাপত্রে।
ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। রবিবার দুইদিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলন শেষ হচ্ছে।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যৌথ ঘোষণাপত্রে সদস্য দেশগুলোর সকলের সম্মতি আদায়। গত এক বছর ধরে জোটের বৈঠকে ইউক্রেন সঙ্কট বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ইস্যুতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধের কারণে কোনও যৌথবিবৃতি দেয়া যায়নি। তবে শনিবার সন্ধ্যায় দিলির ভারত মন্ডপম সভাস্থল থেকে জানানো হয়, সর্বসম্মতিক্রমে একটি যৌথ ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়েছে।
এই ঘোষণাপত্রে জায়গা পেয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রসঙ্গ। ইউক্রেনের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ও জনগণের দুর্দশার উলেখ করে ঘোষণাপত্রের লেখা হয়েছে, এই যুদ্ধ খাদ্য, শক্তি নিরাপত্তা, সরবরাহ শৃঙ্খল, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে। তবে বিশ্বনেতারা সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেননি। তবে যৌথ ঘোষণায় বলেছেন বর্তমান যুগ যুদ্ধের হবে না। জোর দিয়ে বলা হয়েছে পারমানবিক অস্ত্রের ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি অগ্রহণযোগ্য।
৮৩টি অনুচ্ছেদের এই যৌথ ঘোষণার ইউক্রেন প্রসঙ্গের পাশাপাশি রয়েছে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, অর্থপাচার রোধ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও দুর্বল দেশগুলির জন্য ঋণ সহযোগিতার মতো বিভিন্ন বিষয়।
যৌথ ঘোষণায় আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
KFA/shimul