আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ১৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি দেখেছে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং। ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানে বন্যা দেখা দিয়েছে। সড়ক ও মেট্রো স্টেশন জলমগ্ন হয়ে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ। এদিকে, ঝড়ো বাতাস ও শিলাবৃষ্টির কবলে পড়েছে দক্ষিণ-অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলেস। গ্রিসে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অন্যদিকে, কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় দাবানল শীত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
টাইফুন হাইকুই এর পর এবার ভারী বৃষ্টিতে নাকাল হয়ে পড়েছে হংকংবাসী। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬ দশমিক দুই ইঞ্চি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। যা অঞ্চলটির ১৪০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে স্বায়ত্তশাসিত এ অঞ্চলটির বেশকিছু জেলা। সড়ক ও মেট্রো স্টেশন জলমগ্ন হয়ে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান।
এদিকে, ঝড়ো বাতাস ও শিলাবৃষ্টির কবলে পড়েছে দক্ষিণ-অস্ট্রেলিয়া। দেশটির ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলেসে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে ঝড়ো বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশকিছু বাড়িঘর। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে বাতিল ও বিলম্বিত হয়েছে বহু ফ্লাইট।
টানা চারদিনের ভারী বর্ষণে গ্রিস্রে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশকিছু স্থান। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো বাসিন্দা।
অন্যদিকে, কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় দাবানলের প্রভাবে প্রদেশটিতে খরা ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেবে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রদেশটিতে দাবানলে এখন পর্যন্ত ২২ লাখ হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। আগুনে ধ্বংস হয়ে গেছে শত শত স্থাপনা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রদেশটিতে এখনও ৪শ’টিরও বেশি সক্রিয় দাবানল রয়েছে। যার অর্ধেকেরও বেশি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
aleya/shimul