কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: কুড়িগ্রামে বেড়েই চলেছে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। ২০১৫ সালে এই জেলায় প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ছিল ৩০ হাজারের কম। ৭ বছরে বেড়ে তা এখন ৬৭ হাজারেরও বেশি। দারিদ্র আর অসচেতনতার কারণে ঠিকমত দেখভালও হচ্ছে না তাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাল্যবিয়ে, পুষ্টিহীনতা, গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসার অভাবসহ বেশকিছু কারণে বাড়ছে জন্মগত প্রতিবন্ধীর সংখ্যা।
উত্তরের দারিদ্রপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামে দিন দিন বেড়েই চলেছে মানসিক ও শারিরীক প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা। সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী এই জেলায় ২০১৫ সালে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ছিলো ২৯ হাজার ৭৫৬ জন। মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে ২০২৩ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৪২৭ জনে।
প্রতিবন্ধী সন্তানদের নিয়ে নিæ আয়ের এসব পরিবারের দিনরাত কাটছে নানা ভোগান্তিতে। কুসংস্কারের কারনে নানা ভাবে হেয় হতে হয় পরিবারগুলোকে।
জেলায় দৃষ্টি, বাক, বুদ্ধি, শ্রবণ প্রতিবন্ধীর সংখ্যা বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ্য শিশু জন্মদানের জন্য গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিকর খাবার ও সঠিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে বাল্য বিয়ে।
সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সরকারী বেসরকারী উদ্যোগে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ।
কুড়িগ্রামের নয় উপজেলায় বর্তমানে ভাতা সুবিধার আওতায় আছেন ৪৯হাজার ৫শ ৬৯জন প্রতিবন্ধী।
Kaniz/shimul