জেলা সংবাদদাতা: দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। যমুনা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে আছে। তলিয়ে গেছে রাস্তা ঘাটসহ ফসলি জমি। ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়ছে। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এতে ১০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ প্লাবনের হুমকিতে পড়েছে।
বৃষ্টিতে আবারও দেশের কিছু নদ-নদীর পানি বেড়েছে। জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পানি বেড়ে নতুন করে প্ল¬াবিত হয়েছে মেলান্দহ উপজেলার ১টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক ও কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল। দুর্গত এলাকায় খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকটে দুর্ভোগে পড়েছেন দুর্গতরা। বন্যার পানিতে ইসলামপুরে শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে বইছে। পানিতে কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল তলিয়ে আছে। দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষ।
এদিকে, গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর পানি কমলেও ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীতে বেড়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। বানের পানি ঢুকছে চরাঞ্চল ও লোকালয়েও।
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তীব্র হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন। কাঁচকোল এলাকায় তীর রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এতে ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা নদীগর্ভে যাওয়ার হুমকিতে রয়েছে। আতঙ্কে এসব এলাকার বাসিন্দারা।
Laiza/sat