উড়ালসড়ক ঘিরে নগরজুড়ে সাজসজ্জা

প্রকাশিত: ০২-০৯-২০২৩ ১২:২৬

আপডেট: ০২-০৯-২০২৩ ১৫:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলে দেয়া হচ্ছে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত একাংশ। এতে মাত্র ১০ মিনিটেই পাড়ি দেয়া যাবে ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর। যানজটে নাকাল রাজধানীবাসির জন্য এ যেন এক নতুন দিগন্ত। 

আজ শনিবার (দোসরা সেপ্টেম্বর) বিকেলে এর উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রথম উড়াল সড়ক ঘিরে যেন চারদিকে সাজসাজ রব। রাজধানীজুড়েই চোখে পড়ছে ফেস্টুন, বিলবোর্ড, ব্যানার।

সরেজমিন দেখা যায়, উৎসবের রঙে সেজেছে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তবে এত সহজে তৈরি হয়নি এই পথ। দফায় দফায় বদলেছে তারিখ। পাড়ি দিতে হয়েছে নানা প্রতিকূলতা। তবে সব ছাপিয়ে চোখের সামনে এবার বাধাহীন চলার হাতছানি। পুরো প্রকল্প বিমানবন্দরের কাওলা থেকে চিটাগং রোডের কুতুবখালী। মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। র‌্যাম্প আছে ৩১টি। তাই ওঠানামার সেই পথসহ মোট দৈর্ঘ্যে ২৭ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে এই উড়াল পথের দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ বর্গকিলোমিটার।

এ উড়ালসড়ক রাজধানীকে যুক্ত করছে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত। ফলে রাজধানীর এপার-ওপারে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি যেন আর থাকলো না। তাই রাজধানীবাসির কাছে অনেকটা আনন্দের দিন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের আশপাশে নানা ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। আনন্দ বিরাজ করছে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে।

বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেয়ার বেশ খুশি তারা। কারণে যানজট এড়িয়ে খুব দ্রুত গন্তব্যে যেতে পারবেন। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন। সরকারে এমন জনমুখী প্রকল্পের জন্য প্রধামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রাজধানীবাসি।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামার জন্য ১৫টি র‌্যাম্প রয়েছে। এরমধ্যে বনানী ও মহাখালীর দুটি র‌্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।

 

Mustafiz/shimul